লালগ্রহের বায়ুস্তর ধ্বংস করেছে সূর্য

জলের খোঁজ মিলেছিল আগেই। এ বার বায়ুমণ্ডলেরও খবর দিল নাসা। মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের দাবি, এককালে পৃথিবীর মতো মঙ্গলেও বায়ুমণ্ডল ছিল। সৌরঝড়ের তাণ্ডবে তা ক্রমশ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। নাসার এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ‘সায়েন্স’ ও ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারস’-এ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০১৫ ০৩:০৩
Share:

ছবি: নাসা

জলের খোঁজ মিলেছিল আগেই। এ বার বায়ুমণ্ডলেরও খবর দিল নাসা। মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানীদের দাবি, এককালে পৃথিবীর মতো মঙ্গলেও বায়ুমণ্ডল ছিল। সৌরঝড়ের তাণ্ডবে তা ক্রমশ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। নাসার এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে ‘সায়েন্স’ ও ‘জিওফিজিক্যাল

Advertisement

রিসার্চ লেটারস’-এ।

মঙ্গলের হিমশীতল ঠান্ডা, রুক্ষ-শুষ্ক ভূপ্রাকৃতিক গঠন, পাতলা বায়ুর স্তর, খনিজ লবণে মিশে থাকা জলের কণা... এ সবের জন্য সূর্যকেই ‘দায়ী’ করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, এক সময় লালগ্রহেরও উষ্ণ-আর্দ্র জলবায়ু ছিল। হয়তো জলের ধারাও ছিল। যা কি না প্রাণের উপস্থিতির অন্যতম রসদ। সৌরঝড়ের প্রকোপে বায়ুস্তর ক্রমশ পাতলা হয়ে যাওয়ার সঙ্গে বদলে গিয়েছে গ্রহের জল-হাওয়া। ‘মৃতপ্রায়’ চেহারা নিয়েছে মঙ্গল।

Advertisement

কিন্তু কী এমন ‘অপরাধ’ করেছে সূর্য? আর সে বিষয়ে বিজ্ঞানীরা এত নিশ্চিত হচ্ছেনই বা কী ভাবে?

২০১৫ সালে বেশ কয়েক বার সৌরঝড়ের মুখোমুখি হয়েছে সূর্যের পরিবার। এই সময়েই মঙ্গলে পাঠানো নাসার মহাকাশযান ‘মার্স অ্যাটমোস্ফিয়ার অ্যান্ড ভোলাটাইল ইভোলিউশন’ (মাভেন)-এর গবেষণায় ধরা পড়ে, সৌরঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক ভাবে আক্রান্ত হচ্ছে মঙ্গল। গ্রহের বায়ুস্তর থেকে ক্রমশই মহাশূন্যে মিলিয়ে যাচ্ছে গ্যাসীয় কণা। মাভেনের রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১০০ গ্রাম গ্যাসীয় কণা মঙ্গলের বায়ুস্তর ছেড়ে হারিয়ে যাচ্ছে মহাকাশে।

কিন্তু সৌরঝড়ের প্রভাব তো আমাদের গ্রহের উপরেও পড়ার কথা! বিজ্ঞানীরা বলছেন, পৃথিবীতে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি রয়েছে। মঙ্গলে নেই। তাই সৌরঝড়, অতিবেগুনি রশ্মি বিস্ফোরণ বা তড়িৎ চুম্বকীয় কণার স্রোত থেকে লালগ্রহ তার বায়ুমণ্ডলকে রক্ষা করতে পারেনি। এখনও পারছে না। নাসার গবেষক জন গ্রান্সফেল্ডের কথায়,‘‘পুরু বায়ুস্তর ছিল মঙ্গলে। ফলে হয়তো জলও ছিল। যা প্রাণ থাকার ইঙ্গিত দিচ্ছে।’’ বায়ুস্তর নেই। তাই বায়ুর চাপও নেই। সে কারণেই হয়তো জলের কণা এখন গা ঢাকা দিয়েছে খনিজ লবণে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন