পুঞ্চার গ্রামে কুকুরের আতঙ্ক
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুঞ্চা
কয়েক ঘণ্টায় আট জনকে কামড়েছে কুকুর। এই আতঙ্কে রবিবার দিনভর পুঞ্চার নপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা আতঙ্কে থাকলেন। বিকেলে কিছু বাসিন্দা তাড়া করে কুকুরটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন। বৃদ্ধা নুনকি দুয়ারি বলেন, “সকালে পুকুরে স্নান সেরে বাড়ি ফিরছিলাম। এই সময় হঠাৎ কোথা থেকে একটা কুকুর এসে পায়ে কামড়ে দিল। যন্ত্রণায় হাত থেকে ভেজা কাপড়চোপড় মাটিতে পড়ে গেল।” স্থানীয় হাইস্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির পড়ুয়া সোমা মাহাতো জানায়, সে দোকানে জিনিস কিনতে গিয়েছিল। হঠাৎ একটা কুকুর তার পায়ের ঘ্যাঁক করে কামড় দেয়। গৃহবধু বেহুলা গরাই বলেন, “এত চেঁচামেচি কেন জানতে আমি বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলাম। কুকুরটা কোথায় ঘাপটি মেরে বসেছিল কে জানে! আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে পায়ে কামড়ে দেয় কুকুরটা।” স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় সহিস জানান, রবিবার সকালে পাড়ার তিনজনকে কুকুরটা কামড়ায়। ভয়ে লোকে লাঠি নিয়ে বেরোচ্ছিল। নপাড়া হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সাম্যবিপ্লব মাহাতো বলেন, “এপাড়া ওপাড়া মিলিয়ে আট জনকে পাগলা কুকুরে কামড়েছে। স্কুল বন্ধ ছিল। না হলে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়ত। বাসিন্দারা এগিয়ে এসে আক্রান্তদের ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যান। বিকেলে আতঙ্কিত বাসিন্দারা লাঠিপেটা করে কুকুরটাকে মেরে ফেলে। পুঞ্চার বিএমওএইচ সত্যব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, “স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মোট আট জন কুকুরের কামড় নিয়ে এসেছিলেন। তাঁদের চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে।” তিনি জানান, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মঙ্গল ও শুক্রবার এই দু’দিন কুকুরের কামড়ের প্রতিষেধক এআরভি দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার তাঁদের ওই ইঞ্জেকশন দেওয়া হবে।
বাজ-ছানা উদ্ধার
জনবহুল এলাকা থেকে একটি বাজপাখির ছানা উদ্ধার করে বন দফতরের হাতে তুলে দিলেন পশুপ্রেমী সংগঠন পিপল ফর অ্যানিম্যাল ২-এর সদস্যরা। সোমবার সংগঠনের জেলা সম্পাদক অজয় সাহা রায়গঞ্জের নিউ মার্কেটের কাছে রাস্তা থেকে সেটি উদ্ধার করেন। পরে সংগঠন সদস্যরা রায়গঞ্জের কুলিক পক্ষিনিবাসে গিয়ে অতিরিক্ত বনাধিকারিক অসীমকুমার চাকির হাতে তা তুলে দেন। অসীমবাবু বলেন, “ছানাটিকে পক্ষিনিবাসে রেখে চিকিৎসা শুরু করেছে বন দফতর। ওড়া শিখলে ছেড়ে দেওয়া হবে।