টুকরো খবর

গ্রামে আটকে পড়া উল্লুক পরিবারকে উদ্ধার করে অভয়ারণ্যে ছেড়ে দিলেন বনকর্মী ও পশুপ্রেমীরা। নামনি দিবাং জেলার ডেলো গ্রামে বহুদিন ধরেই বিচ্ছিন্ন হয়ে আটকে পড়েছিল উল্লুক বা হুলুক গিবনদের ২০টি পরিবার। সেখানে ঘন অরণ্য না থাকায় গিবনদের মাটি দিয়ে চলাফেরা করতে হত। মেহাওয়ের ডিএফও কেইজুম রিনা বলেন, “জঙ্গলে ফিরিয়ে নিয়ে না গেলে এদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ত।”

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৮:৩০
Share:

গন্ডারের মৃত্যু ঘিরে ছড়াল উত্তেজনা

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি

কাদায় আটকা পড়া গন্ডারের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকে বিক্ষোভ চলল কাজিরাঙায়। অবরুদ্ধ হল জাতীয় সড়ক। গত কাল সকালে বাগরি রেঞ্জ থেকে বের হয়ে আসা একটি বৃদ্ধ গন্ডার বরবিল এলাকায় পাঁকে আটকে যায়। গন্ডারটিকে চোরাশিকারিদের হাত থেকে বাঁচাবার জন্য গত কাল দিনরাত পালা করে গ্রামবাসীরা গন্ডারটিকে ঘিরে রাখেন। চিকিৎসক ও বনরক্ষীর দল গন্ডারটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা চালান। সেখানেই তাঁর চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু বহু চেষ্টার পরেও গন্ডারটি তার ডান দিকের কোমর ও নিম্নাঙ্গ তুলতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত রাত ১০টা নাগাদ গন্ডারটির মৃত্যু হয়। এরপরেই স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, কাজিরাঙা কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করলে গন্ডারটিকে তুলতে পারত। বন বিভাগের ব্যর্থতার প্রতিবাদে আজ সকালে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। পোড়ানো হয় বনমন্ত্রীর কুশপুতুল। অবশ্য বনকর্তা ও চিকিৎসকদের মতে, বৃদ্ধ অবস্থায় গন্ডাররা এভাবেই মারা যায়। মানুষের চোখের সামনে ঘটনাটি ঘটায় এই প্রতিক্রিয়া হল। দুর্বল, অসুস্থ ও বৃদ্ধ গন্ডারটিকে জোর করে টেনে-হিঁচড়ে কাদা থেকে তুলে আনলেও তাকে বাঁচানো যেত না।

Advertisement

অবাধে

ছবি: আরিফ ইকবাল খান।

টিয়া, পাহাড়ি চন্দনা, কাকাতুয়া-সহ নানা পাখি বিক্রি ক্রমশ বাড়ছে হলদিয়ায়। পাখি বিক্রি চক্রে সাধারণত থাকে সাত-আট জনের দল। ক’য়েক জন থাকে পাহারায়, আর বাকিরা পালা করে পাখি বিক্রি করে। বিশ্বকর্মা পুজোর সময় পাখি বিক্রির চল বেশি। মহিষাদলের রথের মেলায় থাকে আস্ত একটা পাখি গলি। সেখানে বুনো হাঁস থেকে খরগোশ, প্রায় সব ধরনের পাখি বিক্রি হয় অবাধে। এক একটি চন্দনার দাম ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা। ক্ষুদিরাম নগর, গান্ধী নগর, ভবানীপুর, আজাদ হিন্দনগর, রানিচক এলাকায় পাখি বিক্রি চক্র সক্রিয়।

ট্রেনের ধাক্কায় দুই হাতির মৃত্যু

ফের ট্রেনের ধাক্কায় দু’টি হাতির মৃত্যু হল। ঘটনাটি ঘটেছে অসমের যোরহাটে। পুলিশ ও বন বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ ভোর সওয়া পাঁচটা নাগাদ গিবন অভয়ারণ্যের বুক চিরে যাওয়া রেললাইনে গুয়াহাটি-লিডো ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস হাতি দু’টিকে ধাক্কা মারে। মরিয়ানি ও নকাছারি স্টেশনের মধ্যে ভেলাগুড়ি চা বাগানের মধ্যে তখন হাতির দলটি ছিল। মরিয়ানির রেঞ্জার ডি মেধি জানান, ২০ বছরের স্ত্রী হাতি ও সাত বছরের পুরুষ হাতিটি ট্রেনের চাকায় আটকে প্রায় ৪০০ মিটার অবধি চলে যায়। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এর পর ট্রেনের তলা থেকে দেহদুটি বের করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রেনের ধাক্কায় আরও একটি হাতি জখম হয়। তবে সে উঠে পালায়। বনকর্মীরা জখম হাতির খোঁজে সন্ধান চালাচ্ছেন। রেল সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, অভয়ারণ্যের ভিতরে ট্রেনটি নির্দিষ্ট গতিতেই চলেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন