পরিবেশ রক্ষায় নদী-দূষণ রুখতে ডাক বিচারপতিদের

শনিবার নিউটাউনে জাতীয় পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চের উদ্বোধনে এসে বিভিন্ন আদালতের বিচারপতিদের আহ্বান পরিবেশ রক্ষায় লাগাম টানা হোক নদী দূষণে। গঙ্গা-সহ দেশের প্রধান নদীগুলির দূষণ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন পরিবেশবিদরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ মে ২০১৪ ০১:৩৭
Share:

শনিবার নিউটাউনে জাতীয় পরিবেশ আদালতের পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চের উদ্বোধনে এসে বিভিন্ন আদালতের বিচারপতিদের আহ্বান পরিবেশ রক্ষায় লাগাম টানা হোক নদী দূষণে। গঙ্গা-সহ দেশের প্রধান নদীগুলির দূষণ নিয়ে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন পরিবেশবিদরা। এ রাজ্যেও গঙ্গায় মাত্রাতিরিক্ত দূষণের অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে বিচারপতিদের এই মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ভাবী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও গঙ্গা দূষণে লাগাম টানার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

Advertisement

পরিবেশ সংক্রান্ত মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ২০১০ সালে দিল্লিতে জাতীয় পরিবেশ আদালত গঠিত হয়। গোড়াতেই ঠিক হয়েছিল, দিল্লিতে প্রধান বেঞ্চের পাশাপাশি দেশের চার প্রান্তে পরিবেশ আদালতের আঞ্চলিক বেঞ্চ খোলা হবে। ভোপাল, পুণে ও চেন্নাইয়ে আঞ্চলিক বেঞ্চ চালু হলেও পরিকাঠামোগত নানা সমস্যার জন্য এত দিন কলকাতায় বেঞ্চ চালু করা যায়নি। সম্প্রতি সেই সমস্যা মিটে যাওয়ায় বেঞ্চ চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় পরিবেশ আদালত।

নিউটাউনের ফিনান্স সেন্টারের চার তলায় এই আদালত বসবে। প্রাথমিক ভাবে জানানো হয়েছে, কাল, সোমবার থেকেই আদালতের কাজকর্ম শুরু হবে। এ দিন পূর্বাঞ্চলীয় বেঞ্চের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মদন ভীমরাও লোকুর জানান, দেশের নদীগুলির দূষণ পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক। লন্ডনে টেমস নদীকে দূষণ মুক্ত করার উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, “এ দেশে গঙ্গা ও যমুনা অ্যাকশন প্ল্যানে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে, কিন্তু কাজের কাজ হয়নি।” নদী-বিশেষজ্ঞ কল্যাণ রুদ্র বলেন, “নিকাশি ব্যবস্থার সংস্কার এবং গঙ্গায় বর্জ্য ফেলা বন্ধ না হলে এই দূষণ ঠেকানো যাবে না।” রাজ্যের ক্ষেত্রে গঙ্গার দূষণ-রোধ যে গুরুত্বপূর্ণ, এ দিন তা মনে করিয়ে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আর এক বিচারপতি পিনাকীচন্দ্র ঘোষও।

Advertisement

জাতীয় পরিবেশ আদালতের বেঞ্চ এ রাজ্যে তৈরি হওয়ায় দ্রুত মামলা নিষ্পত্তিরও আশা করছেন পরিবেশকর্মীরা। এত দিন কলকাতা হাইকোর্টে পরিবেশ সংক্রান্ত মামলার বিচার হত। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, অন্য মামলার ভারে পরিবেশ সংক্রান্ত মামলাগুলির দ্রুত বিচার সম্ভব হত না। জাতীয় পরিবেশ আদালতের চেয়ারপার্সন বিচারপতি স্বতন্ত্র কুমার জানান, ২০১২ সালের তুলনায় ২০১৩ সালে পরিবেশ আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার ২০০ শতাংশ বেড়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন