বিজ্ঞানী অশোক সেনের মুকুটে জুড়ল নতুন পালক। এ বছরের ‘ডিরাক পদক’ পেলেন তিনি।
ইতালির ত্রিয়েস্ত শহরে আব্দুস সালাম ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিওরিটিকাল ফিজিক্স (আইসিটিপি) এ বছর আরও দুই বিজ্ঞানীকে ওই পুরস্কার দিয়েছে। এঁরা হলেন আমেরিকায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান্ড্রু স্ট্রমিংগার এবং সুইৎজারল্যান্ডে সার্ন গবেষণাগারের গ্যাব্রিয়েল ভেনেজিয়ানো। অশোকবাবু অধ্যাপনা করেন ইলাহাবাদে হরিশচন্দ্র রিসার্চ ইনস্টিটিউটে।
প্রতি বছর ৮ অগস্ট, নোবেলজয়ী ব্রিটিশ বিজ্ঞানী পল অ্যাড্রিয়েন মরিস ডিরাক-এর জন্মদিনে তাঁর নামাঙ্কিত এই পদক দেওয়া হয়। তাত্ত্বিক পদার্থবিদ্যায় অসামান্য কৃতিত্বের জন্য ১৯৮৫ সাল থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। নোবেল বা ওই মাপের বড় পুরস্কার পেয়েছেন, এমন কোনও গবেষককে ডিরাক পদক দেওয়া হয় না। যদিও এই পদকজয়ী অনেকেই পরে নোবেল সম্মানে ভূষিত হয়েছেন। ডিরাক পদকের অর্থমূল্য পাঁচ হাজার ডলার।
তিন বিজ্ঞানীকে এ বার ডিরাক পদকের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে ‘স্ট্রিং থিওরি’ গবেষণায় তাঁদের কৃতিত্বের জন্য। ওই তত্ত্বে পদার্থের ক্ষুদ্রতম উপাদান কণার বদলে সুতোর মতো কিছু একটার অস্তিত্ব কল্পনা করা হয়। বিশ্ব-ব্রহ্মাণ্ডে যাবতীয় ক্রিয়া এই তত্ত্ব একাই ব্যাখ্যা করতে চায়। শুধু বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের জন্ম নয়, তাঁর বর্তমান অবস্থাও ব্যাখ্যা করে ‘স্ট্রিং থিওরি’। ব্যাখ্যা করে মহাশূন্যে ব্ল্যাক হোলের নানা লক্ষণ। এমনই একটি তত্ত্বের সন্ধান আজীবন করে গিয়েছেন আলবার্ট আইনস্টাইন। কিন্তু সফল হতে পারেননি।
অশোকবাবু এর আগেও বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পুরস্কার পেয়েছেন। দু’বছর আগে পাওয়া ‘ফান্ডামেন্টাল ফিজিক্স প্রাইজ’ যার অন্যতম। এর আর্থিক মূল্য ত্রিশ লক্ষ ডলার। তারও আগে ‘ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর থিওরিটিক্যাল ফিজিক্স’ ১৯৮৯ সালে তাঁকে দিয়েছিল ‘আইসিটিপি প্রাইজ’। এখন তিনি ওই সংস্থার ‘সায়েন্টিফিক কাউন্সিল’-এর অন্যতম সদস্য।