Aparajita Adhya. menstrual hygiene day

পিরিয়ড তো প্রকৃতির নিয়ম, এতে লজ্জার কী আছে?

আমি নিজে ২০০ শতাংশ হাইজিন মেনে চলি। আমি চাই, সব মেয়েরাই এটুকু মেনে চলুক। কিন্তু এখনও আমাদের অনেকের মধ্যেই সচেতনতার অভাব রয়েছে।

Advertisement

অপরাজিতা আঢ্য (অভিনেত্রী)

শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৮ ১৪:১৬
Share:

আজ মেনস্ট্রুয়াল হাইজিন দিবস। দিনভর বিভিন্ন জায়গায় এ নিয়ে নানা অনুষ্ঠান হচ্ছে। গত বছরও হয়েছিল, হয়তো আগামী বছরও হবে। কিন্তু আমার মনে হয়, সচেতনতা দরকার বছরের প্রতিটি দিন।

Advertisement

আমি নিজে ২০০ শতাংশ হাইজিন মেনে চলি। আমি চাই, সব মেয়েরাই এটুকু মেনে চলুক। কিন্তু এখনও আমাদের অনেকের মধ্যেই সচেতনতার অভাব রয়েছে।

যখন ছোট ছিলাম, মায়েরা যে পদ্ধতি বলে দিতেন আমরা সেটা মেনে চলতাম। ভাবতাম, এটা একটা লজ্জার বিষয়। ঘরের কাপড়ই ধুয়ে ব্যবহার করতাম। সেটা আবার এমন জায়গায় রাখতে হত যাতে পুরুষদের চোখে না পড়ে। কিন্তু এটা তো প্রকৃতির নিয়ম। এতে লজ্জার কী আছে?

Advertisement

আরও পড়ুন, ‘সৃজিত বলত, পাক্কা আছে…’

যখন থেকে বুঝেছি পিরিয়ডে কাপড় ব্যবহার করলে ইনফেকশন হতে পারে, নানা রকম রোগ হতে পারে, তখন থেকে সচেতন হয়েছি। ন্যাপকিন ব্যবহার করেছি। কিন্তু এখনও অনেকে দোকানে গিয়ে ন্যাপকিন চাইতে লজ্জা পান। গ্রামে তো বটেই, শহরেও কিন্তু এই সংখ্যাটা খুব একটা কম নয়। এর ফলেই বহু রোগ হচ্ছে মেয়েদের। আমার কথা হল, এই রোগ হওয়ার পরিস্থিতিতে বিষয়টা যাবে কেন?

আরও একটা ব্যাপার, অনেক মেয়েই অনেকক্ষণ ধরে একটাই ন্যাপকিন ব্যবহার করেন। ধরুন, আমাদের প্রফেশনে যাঁরা আছেন, তাঁদের হয়তো শট চলছে, টয়লেটে যেতে পারবেন না। আবার স্কুল পড়ুয়ারাও হয়তো বাধ্য হয়ে এটা করছে। বা অনেক মহিলাকে পেশার তাগিদে সারাদিন হয়তো রাস্তায় ঘুরতে হয়। তাঁদেরও এই সমস্যা হয়। আমাকে চিকিত্সক বলেছিলেন, এটা খুব খারাপ। একেবারেই করা উচিত নয়। যে পরিস্থিতিই হোক না কেন, নির্দিষ্ট সময় অন্তর ন্যাপকিন চেঞ্জ করাটা জরুরি।

এ বার আসি সিনেমার কথায়। এ সব ইস্যুতে আজকাল অনেক কাজ হচ্ছে। ‘প্যাডম্যান’-এর মতো ছবি তো অলরেডি হয়েছে। যেখানে সামাজিক বক্তব্য খুব স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে। আসলে সিনেমা বা টিভির মাধ্যমেই এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মানুষ শেখেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement