ভেজা তালুতে ব্যাকটেরিয়া সহজে বংশ বিস্তার করতে পারে।
রবিবারের দুপুর। বাড়ির কাজ সেরে স্নান করে খেতে খেতে বেলা হয়ে গেল হয়তো। ভেবেছেন একটু ভাতঘুম দেবেন। এ দিকে চুল তখনও ভেজা। ঘুমে চোখ জুড়ে আসছে। ভেজা চুলেই ঘুমিয়ে নিলেন ঘণ্টাখানেক। অথবা সকালে উঠে অফিসে যাওয়ার তাড়া থাকে বলে রাতেই সেরে রাখলেন শ্যাম্পুটা। তার পর ভেজা চুলেই হয়তো ঘুমাতে চলে গেলেন। সময়ের অভাবে আমরা এটা করে থাকি। এই অভ্যাস যদি আপনার থেকে থাকে, তা হলে আজই ছাড়ুন। ভেজা চুলে ঘুমনোর অভ্যাস থেকে হতে পারে নানা রকম সমস্যা। বিভিন্ন ইনফেকশন থেকে যেমন চুলের ক্ষতি হতে পারে, তেমনই ত্বকেরও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ফাংগাল ইনফেকশন
কিছু কিছু ফাংগি আমরা খাই। যেমন মাশরুম। কিন্তু বেশির ভাগ ফাংগাসই তা নয়। সাধারণত ভেজা আবহাওয়ায় ফাংগাস জন্মায়। যদি মাথা ভেজা থাকে আর সেই অবস্থায় ঘুমোতে চলে যান, তা হলে ফাংগাল ইনফেকশন হওয়ার ঝুঁকি থাকে। যা থেকে র্যাশ, চুলকানি, প্রদাহ হয় মাথায়।
ব্যাকটেরিয়া
ব্যাকটেরিয়ার বংশ বৃদ্ধির জন্য জলের প্রয়োজন হয়। তাই বাথরুম বা রান্নাঘরে সাধারণত ব্যাকটেরিয়া বংশবিস্তার করে। ভেজা চুল, মাথার ভেজা তালুও ব্যাকটেরিয়ার বংশ বিস্তারের জন্য আদর্শ। ভেজা চুলে ব্যাকটেরিয়া বংশবৃদ্ধি করে, তারপর সেখান থেকে বিছানার চাদর, বালিশে ছড়িয়ে পড়ে।
খুস্কি
সাধারণত স্ক্যাল্প শুকিয়ে যাওয়াই আমরা খুস্কির প্রধান কারণ ভাবলেও গবেষকরা জানাচ্ছেন, ম্যালাসেজিয়া গ্লোবোসার কারণে খুস্কির সমস্যা হয়। এই ম্যালাসেজিয়া গ্লোবোসা এক ধরনের ফাংগাস যা চুলের গোড়ায় আক্রমণ করে মাথার তালুতে বসে যায়। এই আক্রমণের প্রভাবে মাথার ত্বক থেকে মৃত কোষ ঝরে পড়ে। যে হেতু ভেজা বা সিক্ত পরিবেশেই ফাংগাসের জন্ম ও বৃদ্ধির জন্য আদর্শ, তাই ভেজা তালুতে সহজেই ফাংগাসের আক্রমণ হয়।
আরও পড়ুন: পায়ের ট্যান দূর করতে রান্নাঘরের এই দুটো উপকরণই যথেষ্ট
হেয়ার ব্রেকেজ বা চুলের ডগা ভেঙে যাওয়া
ভেজা চুল সেট করা খুবই সহজ। তাই যদি শোওয়ার কারণে কোনও বিশেষ ভাবে চুলে ভাঁজ পড়ে যায়, সেই ভাঁজ আর একবার চুল ধোওয়া পর্যন্ত থেকে যাবে। আবার ভেজা চুলে শুয়ে পাশ ফেরার সময় চুলে জটও পড়ে যেতে পারে। পরে সেই জট ছাড়ানো খুবই কষ্টকরে হয়ে দাঁড়ায়। জট ছাড়ানো যত কঠিন হবে, চুল ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা তত বাড়বে।