আপনি কি প্রেগন্যান্ট? নিশ্চয়ই ডাক্তারের সব পরামর্শ ঠিকঠাক মেনে চলছেন? তবে ডায়েট, ওষুধ সব ঠিক থাকলেও এই সময়টা কিন্তু আরও একটু সাবধান থাকতে হবে। ওয়েদার চেঞ্জের সময় এখন প্রকোপ বাড়ছে ভাইরাল ফিভারের। গর্ভাবস্থায় ভাইরাল ফিভার হলে কিন্তু অনেক রকম সংক্রণ ছড়াতে পারে। ক্ষতি হতে পারে গর্ভস্থ শিশুরও। অন্য দিকে এই সময় ওষুধ খাওয়ার ব্যাপারেও সাবধান থাকতে হয়। অনেক ওষুধ থেকে গর্ভপাত পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। তাই জ্বর হলে ওষুধ ছাড়াই কমানোর চেষ্টা করুন।
১। জলপট্টি- পাতলা, পরিষ্কার এক টুকরো কাপর ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে কপালে দিয়ে রাখুন। এতে শরীরের তাপমাত্রা কমবে। তবে কাপড়টা ভাল করে নিঙ়ড়ে নেবেন। টপ টপ করে জল গড়িয়ে পড়লে কিন্তু ঠান্ডা লাগবে।
২। স্নান- ইষদোষ্ণ জলে স্নান করে নিন। স্নান করতে ইচ্ছা না হলে তোয়ালে ভিজিয়ে ভাল করে গা মুছে নিন। এতে তাপমাত্রা নেমে যাবে।
৩। পাতলা পোশাক- গর্ভাবস্থায় জ্বর হলে একটা মাত্র পাতলা পোশাক পরুন। শীত করলেও এক গাদা পোশাক চড়াবেন না। এতে শরীর গরম হবে। জ্বর কমবে না। যদি শীত করে তবে পাতলা চাদর বা কম্বল জড়িয়ে শুয়ে থাকুন।
৪। জল- শরীরের তাপমাত্রা কমানোর জন্য প্রচুর জল খান। ফলের রস, পাতলা চা, পাতলা গরম ডাল, স্যুপ খেলে জল কমবে তাড়াতাড়ি।
৫। বিশ্রাম- এমনিতেই গর্ভাবস্থায় সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। তার ওপর ভাইরাল ফিভারে শরীর দুর্বল হসলে ঝুঁকি বাড়ে। তাই এই সময় প্রয়োজন না পড়লে বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। যদি চাকরি করেন তাহলে অবশ্যই ছুটি নিন। বাড়িতেও বেশি কাজ না করে যত পারুন বিশ্রাম নিন ও ঘুমোন। এতে জ্বর তাড়াতাড়ি ছাড়বে, দুর্বলতা কমবে, অন্য সংক্রণের ঝুঁকিও কম থাকবে।
৬। ভিটামিন- ওষুধ না খেতে গিয়ে কিন্তু চিকিত্সক গর্ভাবস্থায় আপনাকে যে ভিটামিন, আয়রন, ফলিক অ্যাসিড থেকে বলেছেন সে সব বাদ দেবেন না। এই সব ওষুধ নিয়মিত খেতে থাকুন।
যদি গা, হাত পায়ে ব্যথা হয় তবে পেন কিলার খাবেন না। কোনও রকম অ্যান্টিবায়োটিক বা জ্বর কমার ওষুধ নিজে থেকে খেতে যাবেন না। জ্বর বাড়লে অবশ্যই চিকিত্সকের পরমার্শ নিন।