মাইক্রোওয়েভ ওভেন না ওটিজি? কোনটা কিনবেন?

বাঙালির হেঁসেলে এখন এই সবই নতুন। পাশাপাশি জরুরিও। কোনটা কিনবেন, কেন কিনবেন —জানাচ্ছেন শমিকা মাইতি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫ ১২:২৮
Share:

বাঙালির রান্নাঘরে পা পড়েছে সবে। এরই মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মাইক্রোওয়েভ ওভেন। ফ্রিজের খাবার গরম করায় ঝামেলা নেই আর। বাইরে থেকে কিনে আনা খাবার ঠান্ডা হয়ে গেলে চটপট গরম করে ফেলা যায়। কম তেল বা তেল ছাড়াই রান্না করে ফেলতে পারেন এতে—সে বাটি চচ্চড়ি হোক বা ইলিশ পাতুরি। কেক-পুডিং বানানোর শখ থাকলে তো কথাই নেই। কিন্তু সোলো মাইক্রোওয়েভ ওভেন কিনলে তাতে গ্রিল হবে না, আবার কনভেকশন মাইক্রোওয়েভ ওভেনে বেক করার সুযোগ থাকলেও ওটিজি-তে অনেক ভাল কেক বানানো যায়।

Advertisement

সোলো মাইক্রোওয়েভ: এতে প্রাথমিক কাজগুলো সেরে ফেলা যায়। মানে গরম হয়, ছোটখাটো রান্নাও করতে পারেন।

গ্রিল মাইক্রোওয়েভ: এমনিতে সোলো-র মতো কাজ করে। তবে হিটিং কয়েল আছে বলে গ্রিল করা যায়। রেশমি কাবাব চাইলে বানিয়ে ফেলতে পারেন এতে।

Advertisement

কনভেকশন মাইক্রোওয়েভ: সাধারণ মাইক্রোওয়েভের সঙ্গে এতে কনভেকশনের সুযোগ থাকায় বেক করা যায় কেক-পুডিং।

ওটিজি: পুরো নাম ওভেন-টোস্টার-গ্রিলার। এতেও খাবার গরম করা, গ্রিল করা যায়। বেক করা যায়।

তা হলে কনভেকশন মাইক্রোওয়েভের সঙ্গে ওটিজি-র পার্থক্য কোথায়?

পার্থক্য গরম করার পদ্ধতিতে। মাইক্রোওয়েভে গরম করার জন্য তাপ তৈরি হয় না। এটি ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ বিস্তার করে খাদ্যকণাগুলিকে গরম করে। সেখানে ওটিজি হল ছোট ইলেকট্রিক যন্ত্র, যার মধ্যে তাপ উৎপাদক রড থাকে। ইলেকট্রিক তাপে রূপান্তরিত হয়ে খাবার গরম করে। তাই কনভেকশনের চেয়ে ওটিজিতে অনেক ভাল কেক হয়। তবে, দৈনন্দিন সংসারে খাবার গরম করাটাই যদি মূল কাজ হয় তাহলে কনভেকশন কিনতে পারেন। কারণ এতে অনেক দ্রুত খাবার গরম হয়। ইলেকট্রিকের খরচ অনেক কম। আবার উল্টোদিকে ওটিজি তুলনায় সস্তা।

যাই কিনুন, একা মানুষ হলে ২০ লিটারের মধ্যে, সংসারে ৪-৫ জন থাকলে ৩০ লিটারের মধ্যে। বেশি বড় কিনে রান্নাঘর বোঝাই করার দরকার নেই। ‘কনভেকশন মাইক্রোওয়েভ’ ৬০০-১২০০ ওয়াটে পাওয়া যায়। বেশিরভাগ রেসিপি ৮০০ ওয়াটের মধ্যে রান্না হয়ে যায়। তাই ৮০০ কেনার জন্য যথেষ্ট। একটু খরচ করে কনভেকশন কিনলে কিছু জিনিস দেখে নেবেন। যেমন, অটোমেটিক সেন্সর থাকলে আপনা থেকে বন্ধ হয়ে যায়। খাবার গরম করতে দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় না। ‘টার্ন টেবিল’ নিজে থেকে ঘোরে বলে ভাল গরম হয় খাবার। ‘অটো ডিফ্রস্ট’ করার ব্যবস্থা থাকলে ভাল। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফ্রিজের মাছ বার করে রাখতে হয় না। যন্ত্রে কয়েক মিনিটে কাজটা সেরে ফেলা যায় গুণগত মান বহাল রেখে। বাড়িতে কচিকাঁচা থাকলে ‘সেফটি লক’ কিনতে পারেন। ‘শর্টকাট কি’ না থাকলেও চলে। দৈনন্দিন বাঙালি সংসারে স্যুপ-পিৎজা কদাচিৎ-ই হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন