স্ট্রেস ছাড়া জীবন এখন কল্পনা করাও কঠিন। জীবনে সক্রিয় ও সতর্ক থাকতে স্ট্রেস কিছুটা প্রয়োজন হলেও স্ট্রেস বেড়ে গিয়ে তা কখনও কখনও আয়ত্তের বাইরেও বেরিয়ে যেতে পারে। আর সেই সময়গুলোই হয়ে উঠতে পারে স্বাস্থ্যের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতিকর।
জীবনের বিভিন্ন কঠিন সময় স্ট্রেস বাড়া যেমন স্বাভাবিক, প্রেগন্যান্সির সময়ও তা স্বাভাবিক ভাবেই বেড়ে যায়। আর এই বাড়তে থাকা স্ট্রেস যদি আয়ত্তরে বাইরে চলে যায় তাহলে তা প্রভাব ফেলতে পারে গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কের গঠনে। এর ফলে পরবর্তী কালে সন্তানের মধ্যে অ্যাংজাইটি সিনড্রোম দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জানাচ্ছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্য স্টেট ওহিও ইউনিভার্সিটির গবেষকরা।
তাঁদের বক্তব্য অনুযায়ী, প্রেগন্যান্সিতে মহিলারা স্ট্রেসের শিকার হলে তা প্লাসেন্টায় প্রভাব ফেলে। যদি গর্ভস্থ সন্তান মেয়ে হয় তাহলে শিশুর খাদ্যনালীও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্লাসেন্টা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলে গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্কে ব্রেন ডিরাইভড নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টর প্রোটিন কমে যায়। এই মাইক্রোবিয়াল পরিবর্তনের প্রভাব শিশু প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত থেকে যায়।
সম্প্রতি সান দিয়েগোর সোসাইটি ফর নিউরোসায়েন্সের বার্ষিক সভা নিউরোসায়েন্স ২০১৬-য় এই গবেষণার ফল প্রকাশিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: শুধু দাগ-ছোপ ঢাকতে নয়, কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন এ ভাবেও