নয়ের দশকের শেষের দিকে জন্ম। চিকিত্সক দম্পতির কন্যা মানুষী পড়াশোনাই ছিল ধ্যানজ্ঞান। বড় হতে হতে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নের পাশাপাশি মাথাচাড়া দিতে থাকে মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার স্বপ্ন। সারা দিন বই মুখে করে বসে থাকা পড়ুয়া মেয়েটি কী ভাবে বদলে ফেললেন নিজেকে? সেই ছবিই দেখুন এই গ্যালারিতে।
১৪ মে, ১৯৯৭ মানুষীর জন্ম। বাবা, মা দুজনেই চিকিত্সক।
মানুষী তখন দিল্লির সেন্ট থমাস স্কুলের ছাত্রী। সেই সঙ্গেই নাচের তালিম চলছে কুচিপুরী শিল্পী রাজা, রাধা ও কৌশল্যা রেড্ডির কাছে।
তিন ভাই বোনের সবচেয়ে বড় মানুষী। একজন ছোট ভাই ও এক বোন রয়েছে মানুষীর। মিস ওয়ার্ল্ড খেতাব জেতার মুহূর্তে দর্শকাসনে উপস্থিত ছিল পুরো পরিবার।
২০১৫ সালে হরিয়ানার সোনপতের ভগত্ ফুল সিং উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন মানুষী।
মডেলিং, আন্তর্জাতিক খেতাব বরাবরই টানতো মানুষীকে। ডাক্তারি কলেজে পড়াশোনার পাশাপাশি শুরু করেন মডেলিং।
প্রথম দিকে মডেলিংয়ের দিনগুলোয় মানুষী। মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও কী ভাবে হবে সেই স্বপ্নপূরণ জানতেন না। কিন্তু তখন থেকেই নিজেকে তৈরি করার কঠিন অধ্যাবসায় অভ্যস্ত করে তুলতে থাকেন নিজেকে।
হরিয়ানায় মিস ইন্ডিয়ার অডিশনে মানুষী। মিস ওয়ার্ল্ড হওয়ার স্বপ্নের প্রথম ধাপ। হরিয়ানা অডিশনে সিলেক্টেড হয়ে মানুষী পা বাড়ান নর্থ জোনের কম্পিটিশনের দিকে।
মিস ইন্ডিয়া হরিয়ানার খেতাব জিতে মানুষী সরাসরি সুযোগ পান মিস ইন্ডিয়ার ফাইনালিস্ট হওয়ার। নিজের প্রদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে নিজেকে উজাড় করে দেন মানুষী। তখন থেকেই বদলাতে শুরু করেন তিনি।
বাকি ২৯টি প্রদেশের পিছনে ফেলে মিস ইন্ডিয়া ওয়ার্ল্ড ২০১৭-র খেতাব জিতে নেন মানুষী। তাঁর ব্যক্তিত্ব ও আত্মবিশ্বাসে মুগ্ধ বিচারকা তখন থেকেই বড় স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন।
১৮ নভেম্বর, ২০১৭। মানুষীর জীবনের স্বপ্নের দিন। মিস ওয়ার্ল্ডের মুকুট উঠল মাথায়। ১৭ বছর পর আন্তজার্তিক সৌন্দর্যের মঞ্চে সম্মানিত ভারত।