Women News

ক্যাটে ৯৮.৫৫% নম্বর পেলেন ৮০% দৃষ্টিহীন প্রাচী

কঠিন রোগ কেড়ে নিয়েছে দৃষ্টিশক্তি। কিন্তু হারাতে পারেনি স্বপ্নকে। আসলে স্বপ্ন দেখতে যে সত্যিই চোখের প্রয়োজন হয় না। আর তাই দেখার পরোয়া না করেই পূরণ করে ফেললেন স্বপ্ন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৭ ১৭:০৬
Share:

ছবি: প্রাচী সুখওয়ানির ফেসবুক প্রোফাইল সৌজন্যে।

কঠিন রোগ কেড়ে নিয়েছে দৃষ্টিশক্তি। কিন্তু হারাতে পারেনি স্বপ্নকে। আসলে স্বপ্ন দেখতে যে সত্যিই চোখের প্রয়োজন হয় না। আর তাই দেখার পরোয়া না করেই পূরণ করে ফেললেন স্বপ্ন। দেশের অন্যতম সম্মানীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট, আমদাবাদে পড়তে চললেন গুজরাতের এই ‘অন্ধ’ মেয়ে।

Advertisement

২১ বছরের প্রাচী সুখওয়ানি। ম্যাকিউলার ডিসট্রফিতে আক্রান্ত হয়ে ৮০ শতাংশ দৃষ্টিশক্তিই হারিয়ে ফেলেছেন। ২০১৬ সালে বসেছিলেন কমন অ্যাডমিশন টেস্টে (ক্যাট)-এ। স্কোরকার্ড বলছে, ৯৮.৫৫%। হ্যাঁ। ঠিকই পড়েছেন। ঠিক এতটাই নম্বর পেয়ে পাশ করেছেন প্রাচী। দেশের তিনটি প্রধান আইআইএম কলেজ আমদাবাদ, কলকাতা ও বেঙ্গালুরু থেকে কল পান তিনি।

জিনগত সমস্যার কারণে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় থেকেই কমে আসতে থাকে দৃষ্টিশক্তি। কাপড়ের ব্যবসায়ী বাবা গত ১৫ বছর ধরে মেয়েকে চেন্নাইয়ে সব চক্ষু বিশেষজ্ঞের চেম্বারেই ঘুরে ফেলেছেন। কিন্তু কোনও চিকিত্সার মাধ্যমেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি দৃষ্টিশক্তি। স্পেশাল রিডিং গ্লাস পরার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিত্সকরা। কিন্তু সেই গ্লাস দিয়ে পড়তে যেন আরও অসুবিধে বোধ করেন প্রাচী। ফলে নিজের অতি ক্ষীণ দৃষ্টি আর দু’কানের উপর ভরসা করেই প্রাচীর-ভাঙার লড়াইটা লড়ে যাচ্ছেন প্রাচী।

Advertisement

আরও পড়ুন: জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ থেকে উইলিয়ম ডালরিম্পলদের হিন্দি শিখিয়েছেন ইনি!

আপাতত বিবিএ-র শেষ সেমিস্টারের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত প্রাচী। জানালেন, এমবিএ করে প্রথমে কোনও বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করবেন। আর তার পর সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শুরু করবেন নিজের স্টার্ট-আপ। তবে তাঁর মতো অন্ধদের জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা তৈরি করাই প্রাচীর সব থেকে বড় স্বপ্ন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন