মায়ের বিয়ের বেনারসি শাড়ি পরে বিয়ে করেছিলেন সানিয়া মির্জা। শাশুড়ির খানদানি লেহঙ্গা পরে নিকায় বসেছিলেন করিনা কপূরও। এগুলো সবই তাদের পরিবারের ট্রাডিশন।
বিশেষ দিনের বেনারসি সব মেয়েরাই নিজে পছন্দ করে কিনতে চান। অনেকেই আবার এ দিনের সাজে রাখতে চান মায়ের শাড়ির ছোঁয়া। অন্য দিকে, হাল আমলে বেনারসির মতো ভারী শাড়ি কেনা থেকেও কেউ কেউ পিছিয়ে আসেন। রিসেপশনে হাল্কা কাজের লেহঙ্গাই তাদের পছন্দ। বিয়ের দিন কাজ চালাতে চান মায়ের শাড়ি দিয়েই। যদি আপনি ভেবে থাকেন মায়ের বিয়ের বেনারসি পরেই বসবেন বিয়ের পিঁড়িতে তা হলে মাথায় রাখুন কিছু বিষয়।
যদি মায়ের শাড়ি পরবেন ঠিক করেন তা হলে প্রথমেই দেখে নিন ফ্যাব্রিক ঠিক আছে কিনা। যদি আপনার মা সিল্ক বেনারসি পরে থাকেন তা হলে শাড়ি ভাল থাকার সম্ভাবনা বেশি। যদি টিস্যু বেনারসি পরে থাকেন তা হলে কিন্তু ভাল না-ও থাকতে পারে। যদি মনে হয় পুরনো শাড়ি পিঁজে যেতে পারে, তা হলে পরার ঝুঁকি না নেওয়াই ভাল।
যদি সিল্ক বেনারসি হয় ও ফ্যাব্রিক ভাল থাকে তা হলে বেনারসির উপর এমব্রয়ডারি করে নিতে পারেন। সুতোর বা সিক্যুইনের কাজে ফুটিয়ে তুলতে পারেন এথনিক লুক।
পুরনো শাড়িকে নতুন সমসাময়িক লুক দেওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় ব্লাউজ। কনট্রাস্ট করে সুন্দর ব্রোকেডের ডিজাইনার ব্লাউজ শাড়ির চেহারাই বদলে দিতে পারে। পরতে পারেন জ্যাকেট বা বোট নেক গোল্ডেন ব্লাউজও। সঙ্গে আটপৌরে করে শাড়িটা পরলে ট্র্যাডিশনাল অথচ স্টাইলিশ লুক আসবে।
আরও পড়ুন: বিয়ের দিন পিঠ খোলা ব্লাউজ পরতে হলে পিঠের যত্ন নিন এ ভাবে
যদি মনে করেন নিজের বেনারসি কিনবেন, অথচ মায়ের শাড়িও কোনও ভাবে নিজের বিয়ের অংশ করতে চান তা হলে শাড়ি কেটে বানিয়ে নিতে পারেন কোনও লেহঙ্গা বা স্যুট। বেনারসি কাজের লেহঙ্গার সঙ্গে সুন্দর ওড়না পরে রাজকীয় ছোঁয়া আনতে পারেন রিসেপশনের সাজে।