ভারতীয় যুব ফুটবল দল। ছবি টুইটারের সৌজন্যে।
ভারতীয় ফুটবলে নতুন ইতিহাস লিখল অনূর্ধ্ব-২০ দল। রবিবার মাঝরাতে তারা কোটিফ কাপের ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে হারাল ২-১ ফলে। এই জয়ের অন্য মাহাত্ম্যও রয়েছে। ৫৪ মিনিটে জঘন্য ফাউল করে অনিকেত যাদব লাল কার্ড দেখে বেরিয়ে যান। বাকি সময় দশজনে খেলতে হয়েছিল ভারতকে। দশজনে খেলেও আর্জেন্টিনাকে হারানো বলেই এই জয় আরও মধুর হয়ে উঠছে।
আর্জেন্টিনা অনূর্ধ্ব-২০ পর্যায়ে ছয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। এই দলের কোচ হলেন ২০০৬ সালের বিশ্বকাপ দলে থাকা লিওনেল স্কালোনি ও প্রাক্তন তারকা পাবলো আইমার। ভারতের যুব দলের কৃতিত্ব সেজন্যও বেশি।
এই প্রতিযোগিতায় ভারতীয় যুবরা প্রথম দুই ম্যাচে মার্সিয়া (০-২) ও মউরিটানিয়ার (০-৩) বিরুদ্ধে হেরেছে। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে নামার আগে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে ড্র করেছিল ভারত। প্রতিযোগিতায় এটাই ভারতের প্রথম জয়।
আর্জেন্টিনার যুব দলের বিরুদ্ধে ভারতের যুব দলের ম্যাচের একটি মুহূর্ত। ছবি টুইটারের সৌজন্যে।
ভারতের দুই গোলদাতা হলেন দীপক টাঙ্গরি ও আনোয়ার আলি। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে গোল করেন দীপক। আর্জেন্টিনার গোলরক্ষকের হাত থেকে বল পিছলে যায়। শুরুতেই গোল পেয়ে যাওয়ায় আক্রমণের ঝড় চালিয়ে যায় ভারত। কিন্তু গোল আসেনি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে অধিনায়ক আমরজিত্ সিংয়ের পাস থেকে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন আনোয়ার আলি। তাঁর শট আটকে দেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক। বিরতির দশ মিনিটের মধ্যে অভিষেক লাল কার্ড দেখেন। আর্জেন্টিনা সেই সুযোগে ক্রমাগত আক্রমণ শানাতে থাকে। ভারতীয় গোলরক্ষক প্রভসুখান গিল বেশ কয়েকবার পতন রোধ করেন। ৬৮ মিনিট ফ্রি-কিকে আনোয়ারের অসাধারণ শটে ব্যবধান বাড়ায় ভারত। রহিম আলিকে ফাউল করায় এই ফ্রি-কিক পেয়েছিল ভারত। আনোয়ারের শট গোলপোস্টের ধারে লেগে জালে জড়িয়ে যায়।
চার মিনিট পর ব্যবধান কমায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু, ভারতের যুব ফুটবলাররা লড়ে যান শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত। এবং ছিনিয়ে আনেন জয়।
ভারতের কোচ ফ্লয়েড পিন্টো জয়ের পর বলেছেন, “এই জয় নিঃসন্দেহে ভারতীয় ফুটবলকে বিশ্বের দরবারে সম্মানজনক জায়গায় নিয়ে আসবে। বিশ্বের সেরাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত ভাবে নিজেদের পরীক্ষা করার সুযোগও এনে দেবে এই জয়। সত্যি বলতে, এই জয় অবিশ্বাস্য। ভারতীয় হিসেবে আমি গর্বিত। দেশের যুব ফুটবলকে উন্নত করার লক্ষ্যে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্রচেষ্টা ও বিশ্বাসকে এই জয় সম্মানিত করল। সঠিক সহায়তা ও নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ পেলে বিশ্বের সেরাদের বিরুদ্ধে লড়াই ক্ষমতা যে রয়েছে, সেই বিশ্বাস এতে আরও বাড়ল।”
আরও পড়ুন: সচিন, কোহালি ছাড়াও টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে এক নম্বর হয়েছিলেন যে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা
আরও পড়ুন: লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টেও সম্ভবত নেই বুমরা