সেই ম্যাচে ভিভিএস লক্ষ্মণ ও রাহুল দ্রাবিড়। ছবি: লক্ষ্মণের টুইটার পোস্ট থেকে।
২০০১ এর ১৪ মার্চ দিনটি ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার চোখে চোখ রেখে সেদিন লড়াই করেছিল ভারত। ইডেনের মাটিতে সেই দুরন্ত ইনিংস আজও মনে রেখেছে ক্রিকেটপ্রেমীরা। এত বছর পর এসে সেটাই আবার মনে করালেন ভিভিএস লক্ষ্মণ। ১৭ বছর আগের এক বুধবারের সেই ইনিংস ভারতীয় ক্রিকেটে আজও সেরার স্বীকৃতি পায়।
ভিভিএস লক্ষ্মণ আর রাহুল দ্রাবিড়ের জুটিতে সে দিন এসেছিল ৩৭৬ রানের ইনিংস। ভারতের রান ২৫৪/৪ থেকে পৌঁছে গিয়েছিল ৫৮৯/৪এ। লক্ষ্মণ সেই ম্যাচে এক ইনিংসে করেছিলেন ২৮১ রান। লক্ষ্মণ টুইটে লেখেন, ‘‘এমন এক একটা দিন আমাদের সামনে আসে যখন আমরা নিজেদের আরও ভাল মতো চেনার সুযোগ পাই। বুঝতে পারি নিজের ক্ষমতা।’’
তিনি আরও লেখেন, ‘‘১৭ বছর আগের এমনই একটি দিনে আমি আমার বিশ্বাস ফিরে পেয়েছিলাম। বুঝেছিলাম হাল না ছেড়ে দেশের জন্য লড়ে যেতে হয়। সেখানে শুধু আমি বা রাহুল ছিলাম না। ভাজ্জি, সচিন এবং পুরো দল ছিল।’’
আরও পড়ুন
এ বার বোর্ডের তদন্তের মুখে শামি!
২০০০-০১এ তিন ম্যাচের সিরিজ খেলতে ভারতে এসেছিল অস্ট্রেলিয়া। ০-১এ পিছিয়ে ছিল ভারত। প্রথম ইনিংসে ভারতের ৪৪৫ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৭১ রানে অল-আউট হয়ে গিয়েছিল। ফলো-অন করতে বাধ্য হয় ভারত। আর সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। ভারতীয় ক্রিকেটে লেখা হল এক অন্য লড়াইয়ের কাহিনী। প্রথম ইনিংসে ছয় নম্বরে নেমে ৫৯ বলে ৮৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন লক্ষ্মণ। যে কারণে দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁকে নিয়ে আসা হয় তিন নম্বরে। আর সেখানেই বাজিমাত।
দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম দিন ১০৯ রানে থেমেছিলেন লক্ষ্মণ। রাহুল তখন ১৮০। চতুর্থ দিন পুরো সময়টাই ব্যাট করেছিলেন এই দুই তারকা ব্যাটসম্যান। ৩৭৬ রানে দিন শেষ করেছিল ভারত। রাহুল-লক্ষ্মণ জুটিতে এসেছিল ৩৩৫ রান। পর দিন ইনিংস শেষ করেছিল ৫৮৯/৪এ। লক্ষ্মণ ২৮১। সেই সময় ভারতের হয়ে এটাই ছিল সর্বোচ্চ টেস্ট রান। ৩৮৩ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করেন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ড্র করতে হলে অস্ট্রেলিয়াকে ৭৫ ওভার খেলতে হত। তখন দায়িত্ব তুলে নেন হরভজন সিহং। ১২৩ রানে ৭ উইকেট নেন তিনি। সঙ্গে কোনও ভারতীয় হিসেবে প্রথম টেস্ট হ্যাটট্রিকটিও করে ফেলেন তিনি।
১৭ বছর পরও অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারতের এই জয় চির নতুন। ইডেনে সে দিন উৎসব হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে জয়ের পতাকা ওড়ানোর ইতিহাস লিখেছিল ভারত। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে।