ম্যাচ জিতে সাংবাদিক সম্মেলনে খোশ মেজাজে অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। সঙ্গে ব্যানক্রফট। ছবি: রয়টার্স।
ইংল্যান্ড ৩০২ ও ১৯৫
অস্ট্রেলিয়া ৩২৮ ও ১৭৩/০ (৫০ ওভার)
অ্যাসেজের প্রথম ম্যাচেই মুখ থুবড়ে পড়ল ইংল্যান্ড। দিনের খেলা যখন শেষ হল তখন অস্ট্রেলিয়ার নামের পাশে লেখা হয়ে গিয়েছে ১০ উইকেটে জয়। শেষ দিন এক ঘণ্টার ব্যাটেই জয় ছিনিয়ে নিল অজিরা। ব্রিসবেনে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার সামনে বড় রানের লক্ষ্যমাত্রা রাখতে পারেননি ব্রিটিশরা। প্রথমে ব্যাট করে ৩০২ রানেই গুটিয়ে যায় কুক, রুটদের ব্যাটিং। জেমস ভিনসের ৮৩ রানই ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ। দাবিদ মালানের ৫৬ ও মার্ক স্টোনম্যানের ৫৩ ছাড়া উল্লেখযোগ্য রান আর কিছু নেই। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনটি করে উইকেট নিলেন মিচেল স্টার্ক ও প্যাট কামিন্স। জোড়া উইকেট নাথান লিঁয়।
আরও পড়ুন
অনেক রেকর্ড গড়ে নাগপুরে বিরাট জয়
লিলিকে টপকে অশ্বিনের আরও এক বিশ্বরেকর্ড
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডকে যে বিশালভাবে ছাপিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া তেমনটা হয়নি। যেখানে প্রথম ইনিংসে ৩০২ রানে ইংল্যান্ড অল-আউট হয়ে গিয়েছিল সেখানে অস্ট্রেলিয়ার সব উইকেট পড়ে গেল ৩২৮ রানেই। অধিনায়ক স্মিথের ১৪১ রানের ইনিংস ছাড়া এই অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে বলার মতো আর কিছু নেই। এর পরই মার্শের ৫১। কামিন্সের ৪২ খুব একটা কাজে লাগল না। ইংল্যান্ডের হয়ে ৩টি উইকেট নিলেন স্টুয়ার্ট ব্রড। দুটো করে উইকেট অ্যান্ডারসন ও মইন আলির।
ম্যাচ জিতিয়ে প্যাভেলিয়নে ফিরছেন অস্ট্রেলিয়ার ওয়ার্নার ও ব্যানক্রফট। ছবি: এএফপি।
আসল খেলাটা অবশ্য হল দ্বিতীয় ইনিংসে। বিরাট কোনও চাপে ফেলতে পারবে না ধরেই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিল ইংল্যান্ড। কারণ অস্ট্রেলিয়া বিরাট কোনও রানের টার্গেট দিতে পারেনি। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে আরও খাপার ব্যাটিংয়ের নজির রাখলেন ব্রিটিশরা। কোনও রকমে জো রুটের ব্যাট থেকে এল হাফ সেঞ্চুরি। মইন আলির ৪০ ও বেয়ারস্টোর ৪২ ছাড়া উল্লেখযোগ্য তেমন কিছু নেই। এই রানও যথেষ্ট ছিল না প্রথম টেস্টে হার বাঁচানোর জন্য। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৩টি করে উইকেট নিলেন স্টার্ক, হ্যাজেলউড ও লিঁয়। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য লক্ষ্যের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনারই যথেষ্ট ছিল। ক্যামেরুন ব্যানক্রফটের ৮২ ও ডেভিড ওয়ার্নারের ৮৭ রানের ঝোড়ো ইনিংসে বাজিমাত অস্ট্রেলিয়ার। ৫ ম্যাচের সিরিজ ১-০তে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের সেরা হয়েছেন স্টিভ স্মিথ।