India

ভারতের ৫০২, তিন উইকেট হারিয়ে চাপে দক্ষিণ আফ্রিকা

রোহিত শর্মা পারেননি। ফেলে এসেছিলেন নিশ্চিত দ্বিশতরান। ময়াঙ্ক আগরওয়াল কিন্তু সেই ভুল করলেন না। বৃহস্পতিবার তিনি টেস্ট কেরিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করলেন দাপটের সঙ্গে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বিশাখাপত্তনম শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০১৯ ১১:৪৬
Share:

বিশাখাপত্তনমে দুরন্ত ময়াঙ্ক।

বিশাখাপত্তনমে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের শেষে চালকের আসনে বিরাট কোহালির দল। সাত উইকেটে ৫০২ রানে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করেছিল টিম ইন্ডিয়া। জবাবে ২০ ওভার ব্যাট করেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। স্কোরবোর্ডে উঠেছে ৩৯ রান। ক্রিজে আছেন ডিন এলগার (২৭) ও বাভুমা (২)। ফিরে গিয়েছেন মার্করাম (৫), ডি ব্রুইন (৪) ও নৈশপ্রহরী পিয়েডট (০)। প্রথম দু’জনকে ফিরিয়েছেন অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। এর মধ্যে ব্রুইনের ক্যাচ অসামান্য দক্ষতায় নেন ঋদ্ধিমান সাহা। শেষ উইকেট নিয়েছেন বাঁ-হাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাডেজা। এখনও ৪৬৩ রানে পিছিয়ে প্রোটিয়ারা। বাকি তিন দিন। টেস্ট বাঁচানোর কাজ কিন্তু সহজ হবে না সফরকারী দলের।

Advertisement

সকালে রোহিত শর্মা পারেননি। ফেলে এসেছিলেন নিশ্চিত দ্বিশতরান। এদিন দুপুরে ময়াঙ্ক আগরওয়াল কিন্তু সেই ভুল করলেন না। বৃহস্পতিবার তিনি টেস্ট কেরিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করলেন দাপটের সঙ্গে। তাঁর দ্বিশতরান এল ৩৫৮ বলে। তার কিছুক্ষণ পরেই তিনি অবশ্য ফিরলেন ২১৫ রানে। তাঁর ৩৭১ বলের ইনিংসে রয়েছে ২৩টি চার ও ছয়টি ছয়।

ভারত শেষ পর্যন্ত সাত উইকেটে ৫০২ রানে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করল। রোহিত ও ময়াঙ্ক ছাড়া কেউ বড় রান পাননি। চেতেশ্বর পূজারা (৬), অধিনায়ক বিরাট কোহালি (২০), অজিঙ্ক রাহানে (১৫), রবীন্দ্র হনুমা বিহারী (১০), ঋদ্ধিমান সাহা (২১) ফিরলেন পরপর। রবীন্দ্র জাডেজা ( অপরাজিত ৩০) ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন (অপরাজিত ১) উইকেটে ছিলেন শেষ পর্যন্ত।

Advertisement

বিশাখাপত্তনমে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের প্রাধান্য চলল সারাদিন। প্রথম দিন রোহিত শর্মা ও ময়াঙ্ক আগরওয়াল দক্ষিণ আফ্রিকান বোলারদের শাসন করেছিলেন। দ্বিতীয় দিনের সকালেও প্রথম দিনেরই প্রতিফলন দেখা গেল। রোহিত শর্মা দেখিয়ে দিলেন, ব্যাট করতে জানলে যে কোনও ফরম্যাটেই ব্যাট হাতে সুর তোলা যায়।

ওয়ানডে ক্রিকেটে দেখা গিয়েছে, চলতে শুরু করলে রোহিত বড় রান করবেনই। সেঞ্চুরি পেয়ে গেলে আরও বড় রান করেন তিনি। বিশাখাপত্তনমেও সেটাই দেখা গেল। দ্বিতীয় দিনের সকালে যে ভাবে ‘হিটম্যান এগোচ্ছিলেন, তাতে ডাবল সেঞ্চুরি তিনি পেতেনই। বলা ভাল ডাবলটা তিনি মাঠেই ফেলে এলেন। মুম্বইকর থামলেন ১৭৬ রানে।

কেশব মহারাজের ভাসানো বলটা মাটিতে পড়ার পরে রোহিত পা বাড়িয়ে খেলতে গিয়েছিলেন। যতটা ভেবেছিলেন, তার থেকেও বলটা বেশি ঘোরে। ডি’ককের হাতে বলটা যাওয়া মাত্র তিনি উইকেট ভেঙে দেন। রোহিতের পা তখনও ক্রিজের বাইরে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রবল চাপ নিয়ে ওপেন করতে নেমেছিলেন রোহিত।

আরও পড়ুন: জীবনযুদ্ধের মতোই টেস্ট অগ্নিপরীক্ষায় হার-না-মানা

প্রথম দিনের শেষেই সেঞ্চুরি করে ফেলেছিলেন। দ্বিতীয় দিনে ‘হিটম্যান’ নিশ্চিত ডাবলের দিকেই এগোচ্ছিলেন, ঠিক তখনই ছন্দপতন। টেস্ট ক্রিকেটে নিজের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করলেন রোহিত। ৬ বছর আগে ইডেন গার্ডেন্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে রোহিত খেলেছিলেন ১৭৭ রানের টেস্ট ইনিংস। সেটাই তাঁর সর্বোচ্চ টেস্ট রান। ওপেনিং জুটিতে তিনি এবং ময়াঙ্ক আগরওয়াল জুড়লেন ৩১৭ রান।

আরও পড়ুন: ‘প্যাড পরে বসে থাকতে হয় না, এটাই তো ভাল’

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি ময়াঙ্ক আগরওয়াল। প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে টেস্টের বল গড়ানোর আগে থেকেই ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন, ঘরের মাঠে ময়াঙ্ক ভাল পারফর্ম করবেন। কারণ দেশের মাঠের পিচের চরিত্র তাঁর ভালই জানা। ঘরোয়া ক্রিকেটে ময়াঙ্ক এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে ১০০০-এর উপর রান করেছেন। সেই ময়াঙ্ক প্রথম দিনের শেষে করেছিলেন ৮৪। দ্বিতীয় দিন লাঞ্চের অনেক আগেই সেঞ্চুরি করে ফেলেন তিনি। এটাই তাঁর প্রথম শতরান। ২০৪ বলে সেঞ্চুরি করেন তিনি। তারপর পূর্ণ করেন দ্বিশতরান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন