সেঞ্চুরি করার পর বিরাট কোহালি। ছবি: এপি।
নিউজিল্যান্ড ২৮৫/১০ (৪৯.৪ ওভার)
ভারত ২৮৯/৩ (৪৮.২)
সাত উইকেটে জয় ভারতের
পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১এ এগিয়ে গেল ভারত। রবিবার তৃতীয় একদিনের ম্যাচ ১০ বল বাকি থাকতেই সাত উইকেটে জিতে নিলেন ধোনি অ্যা্ড ব্রিগেড। দুই অধিনায়কের ব্যাটে শেষ পর্যন্ত আত্মবিশ্বাস ফিরে পেল ভারত। ঝকঝকে ৮০ রান করে প্যাভেলিয়নে ফিরলেন এমএস ধোনি। ৯১ বলে ৮০ রান করে হেনরির বলে টেলরকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন তিনি। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল তিনটি ওভার বাউন্ডারি ও ছ’টি বাউন্ডারিতে। ধোনির জায়গায় ব্যাট করতে এসে মনীশ পাণ্ডে সমানে সমানে লড়ে গেলেন কোহালির সঙ্গে। করলেন অপরাজিত ২৮ রান। ১৫৪ রান করে অপরাজিত থাকলেন বিরাট। ১৩৪ বলে বিরাটের ইনিংস সাজানো ছিল একটি ওভার বাউন্ডারি ও ১৬টি বাউন্ডারিতে।
মোহালির পিচ দেখে টস জিতে যে ভারত বল করারই সিদ্ধান্ত নেবে তা জানাই ছিল। এই অবস্থায় লক্ষ্য ছিল নিউজিল্যান্ডকে ২০০র মধ্যে আটকে দেওয়া। মোহালিতে এই সময় পরের দিকে আবহাওয়া অনেকটাই বদলে যায়। শিশির ফ্যাক্টরও কাজ করবে। পিচ ব্যাটিং সহায়ক হওয়ায় ভারতীয় বোলারদের উপর চাপও থাকবে অনেক বেশি। কিন্তু সেই চাপ কাটিয়েই বোলিং শুরু করেছিল ভারত। কিন্তু বড় রান আটকাতে ব্যর্থ উমেশ, পটেলরা। ব্যাট হাতেও শুরুটা ভাল হয়েছিল না ভারতের। ওপেন করতে নেমে মাত্র ১৩ রানে রোহিত শর্মা ও ৫ রানে রাহানে ফিরে গিয়েছিলেন প্যাভেলিয়নে। দুটো উইকেট নিলেন সাউদি ও হেনরি। ধোনিকেও প্যাভেলিয়নে ফেরালেন হেনরি।
এদিন টস জিতে স্বাভাবিক ভাবেই প্রথমে কিউইদের ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন ধোনি। ওপেন করতে এসে দলগত ৪৬ রানেই গাপ্তিলকে (২৭) প্যাভেলিয়নে ফেরত পাঠান উমেশ যাদব। এর পর আর এক ওপেনার টম লাথামের সঙ্গে ব্যাটিংয়ের হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। যদিও ধরসা দিতে পারেননি তিনিও। এ বার কেদার যাদবের বলে ২২ রান করে এলবিডব্লু হয়ে ফিরে যান তিনি।
লাথামের ৬৬ রানের ইনিংসের সঙ্গে টেলরের ৪৪ ও নিশামের ৫৭ নিউজিল্যান্ডের ইনিংসকে ভরসা দিলেও শেষের দিকে আর কেউই দাঁড়াতে পারেননি। এর পর অ্যান্ডারসন (৬), রোঁচি (১), সাঁতনার (৭), সাউদি (১৩)রা কেউই বড় রানের ইনিংস খেলতে পারেননি। ৩৯ রান করে অপরাজিত থাকেন হেনরি। ভারতের হয়ে তিন উইকেট নেন কেদার যাদব ও উমেশ যাদব। জোড়া উইকেট বুমরাহ ও অমিত মিশ্রার। ভারতীয় বোলারদের দাপট থাকলেও ভারতের সামনে ২৮৬ রানের লক্ষ্যমাত্রা রেখেই ব্যাটিং শেষ করল নিউজিল্যান্ড। ব্যাট হাতে লড়াইয়ে নেমে বাজিমাত ধোনি-কোহালিদের। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই চালানো হয়তো একেই বলে।
আরও খবর
হার নিয়ে ভেবে বেশি চাপ নিও না ধোনি, লিখলেন সৌরভ