ভারতীয় বোলিং লাইনআপের অন্যতম দুই ভরসা যশপ্রীত বুমরা এবং যুজবেন্দ্র চহাল। ছবি: সংগৃহীত।
শেষ ম্যাচেও রীতিমত আধিপত্য রেখে ম্যাচ জিতল ভারত। কোহালির ব্যাট থেকে এল ফের একটা শতরান। ষষ্ঠ একদিবসীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ২০৫ রানের লক্ষ্য মাত্র ৩২ ওভারেই জিতে নিল কোহালি ব্রিগেড। ৮ উইকেটে জয় পেল ভারত। অনবদ্য শতরান বিরাট কোহালির (১২৯*), ৩৪ রানে অপরাজিত থেকে যোগ্য সঙ্গত দিলেন অজিঙ্ক রাহানে। দক্ষিণ আফ্রিকার এনগিডির ২ উইকেট ছাড়া কোনও বোলারই দাগ কাটতে পারে নি আজ। ম্যাচের সেরা ও সিরিজ সেরার মুকুটও কোহালির মাথায়।
এক ম্যাচ বাকি থাকতেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে এক দিনের সিরিজ জিতে নিয়েছিল ভারত। সিরিজে ৪-১-এ এগিয়ে ছিল টিম ইন্ডিয়া। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার ওয়ান ডে সিরিজের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মাঠে নেমেছিল ভারত।
ষষ্ঠ ওডিআই ম্যাচেও বিপর্যস্ত দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপ। ভারতীয় বোলারদের দাপটে ৪৬.৫ ওভারে ২০৪ রানে শেষ হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় টি২০ ম্যাচ জিতল ভারতের মেয়েরা
এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জিতে যাওয়ায় ষষ্ঠ ওডিআই ম্যাচে ভারতীয় দলের বোলিং লাইনআপে পরিবর্তন আনেন অধিনায়ক বিরাট কোহালি। ষষ্ঠ ওডিআই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয় ভুবনেশ্বর কুমারকে। ভুবির পরিবর্তে দলে সুযোগ পান শার্দূল ঠাকুর। সুযোগ পেয়েই বাজিমাত শার্দূলের। চারটি উইকেট নেন তিনি। শার্দূলের শিকার এইডেন মার্করাম, হাসিম আমলা, ফারহান বাহার্দিন এবং আন্ডিল ফেলুকায়ো । ১০ রানে আমলাকে প্যাভিলিয়নে ফেরান শার্দূল, মার্করামকে প্যাভিলিয়নে ফেরান ২৪ রানে। মাত্র ১ রানে ঠাকুরের বলে প্যাভিলিয়নে যান ফারহান। ৩৪ রানের শার্দূলের বলে আউট হন ফেহলুকবায়ো।
আরও পড়ুন: একই ম্যাচে জোড়া রেকর্ডে অস্ট্রেলিয়া ও গাপ্তিল
শার্দূল ছাড়া দু’টি করে উইকেট নেন যুজবেন্দ্র চহাল এবং যশপ্রীত বু্মরা। চহালের শিকার এবি ডিভিলিয়ার্স এবং খায়া জোন্ডো। ভাল শুরু করলেও সমর্থকদের প্রত্যাশা মেটাটে ব্যর্থ এবি। ৩০ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। জোন্ডো করেন ৫৪ রান। অন্যদিকে, ২২ রানে হেনরিচ ক্লিসেনকে প্যাভিলিয়নে ফেরান বুমরা। ইমরান তাহিরকে এই পেসার প্যভিলিয়নে ফেরান ২ রানে।
একটি করে উইকেট নেন কুলদীপ যাদব এবং হার্দিক পাণ্ড্য। ২০ রানে মর্নি মর্কেলকে আউট করেন হার্দিক পাণ্ড্য। ক্রিস মরিসকে ৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান কুলদীপ।