ছক্কা হাঁকিয়ে ছ’নম্বর এশিয়া কাপ ট্রফিটা ভারতের হয়ে তুলে নিলেন ক্যাপ্টেন কুল। জয়ের রাস্তাট তৈরি করে দিয়েছিলেন শিখর ধবন ও বিরাট কোহলি। শেষটা করে গেলেন স্বয়ং অধিনায়ক। ৬০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা হলেন শিখর ধবন। পুরো সিরিজে দারুণ খেলে ১৭৬ রান করে টুর্নামেন্টের সেরা হলেন বাংলাদেশের সাব্বির রহমান। বৃষ্টি ভেজা মাঠে ১৫ ওভারে বাংলাদেশকে হারিয়ে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই টি২০ বিশ্বকাপ খেলতে দেশে ফিরছে টিম ইন্ডিয়া। রানার্স হয়ে ভারতে খেলতে আসছেন মাশরাফিরা। বাংলাদেশের জন্য হারটা হতাশার। এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ফাইনালে হেরে গেল ব্যাঘ্র বাহিনী।
এশিয়া কাপের শুরুটা এই ভারতের কাছেই হার দিয়ে করেছিল বাংলাদেশ। শেষটাও হল শুরুর অ্যাকশন রিপ্লে। ম্যাচ শেষে ভারত অধিনায়ক ধোনি দলের টপ অর্জার ব্যাটসম্যানদের ধন্যাবাদ জানিয়ে বলেন, ‘‘আসল কাজটা ওরাই করে দিয়েছিল। দারুণ লাগছে এটা ভেবে এশিয়া কাপ জিতে আমরা টি২০ বিশ্বকাপ খেলতে নামছি। এমন অবস্থায় যুবরাজকে চার নম্বরে ব্যাট করতে দেওয়ারও জায়গা নেই। তবে ও অন্য জায়গায়ও মানিয়ে নিচ্ছে।’’ জসপ্রীতেরও প্রশংসা করেন তিনি। বলেন, ‘‘জসপ্রীতের ইয়র্কারই ওর বোলিংয়ের সৌন্দর্য। ওর বোলিং অ্যাকশন অন্যদের থেকে একটু হলেও আলাদা। হার্দিকও দলের কাজে লাগবে। এই ব্যাটিং ও বোলিং হল একটা প্যাকেজ। আমাদের দলের সকলেই ম্যাচ উইনার। সবাই ম্যাচ শেষ করার দায়িত্বটা নিতে পারে।’’
যদিও এশিয়া কাপ ফাইনাল শুরুর এক ঘণ্টা আগেই প্রকৃতি হঠাৎ সব ভেস্তে দেওয়াহর প্ল্যান করেছিল ঠিকই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওভার ২০ থেকে কমিয়ে ১৫তে হল খেলা। একটা সময় ঝড়-বৃষ্টির অবস্থা দেখে মনে হচ্ছিল হয়তো শেষ পর্যন্ত খেলা হবে না। কিন্তু বৃষ্টি কমতেই মাঠকে খেলার উপযুক্ত করে দিলেন গ্রাউন্ড স্টাফরা। তা দেখে রীতিমতো খুশি সবাই। অনেক কষ্ট করে টিকিট পাওয়া সমর্থকদের মুখেও হাসি ফুটল। তবে শেষ হাসি হাসতে না পারলেও যে লড়াই বাংলাদেশের ১১ জন বাঙালি দিলেন সেটা প্রমাণ করে দিল বড় আসরে বড় বড় দলের সমস্যায় ফেলতে প্রস্তুত টিম বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি মোর্তাজা বলেন, ‘‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে পারলাম না এটা খুব হতাশার। তবে পুরো দলকে শুভেচ্ছা যাঁরা এতটা দলকে নিয়ে এসেছিল। সকলে দারুণ খেলেছে। আমার বিশ্বাস এই ধারাবাহিকতাটা আমরা ধরে রাখতে পারব। আমরা আত্মবিশ্বাসী টি২০ বিশ্বকাপের মূল পর্বে আমরা যোগ্যতা অর্জন করবই।’’
আরও খবর
বিরাট-শিখর চূড়ায় ধোনির তিলক, এশিয়া জয়ী ভারত