‘ব্ল্যাক মাম্বা’ এবির ছোবলে ঘায়েল দিল্লি

শনিবার ইডেন থেকে চিন্নাস্বামী— দাপট ছিল স্ট্রোক প্লেয়ারদের। ক্রিস লিন, কে এল রাহুল, ক্রিস গেল, রান পেয়েছেন সবাই।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০১৮ ০৪:১৩
Share:

বিধ্বংসী: দিল্লির বিরুদ্ধে ৩৯ বলে অপরাজিত ৯০। ছবি: পিটিআই

ম্যাচ শেষ হতেই মাঠে নেমে পড়লেন বিরাট কোহালি। জড়িয়ে ধরলেন ম্যাচের নায়ককে। তিনি— এ বি ডিভিলিয়ার্স। যাঁর ৩৯ বলে অপরাজিত ৯০ রানের ইনিংসের সামনে হারতে হল গৌতম গম্ভীরের দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে।

Advertisement

শনিবার ইডেন থেকে চিন্নাস্বামী— দাপট ছিল স্ট্রোক প্লেয়ারদের। ক্রিস লিন, কে এল রাহুল, ক্রিস গেল, রান পেয়েছেন সবাই। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের চোখে এবি়ডি-র ইনিংসই থাকবে এক নম্বরে। গম্ভীরদের বিরুদ্ধে ১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল আরসিবি। ২৯ রানেই কুইন্টন ডি’কক ও মনন ভোরাকে প্যাভিলনয়নে ফিরিয়ে দিয়ে জয়ের আশা বাড়িয়েছিলেন দিল্লির বোলাররা। কিন্তু এর পর স্লিপে বিরাট কোহালির ক্যাচ ফস্কান ক্রিস মরিস। সেখান থেকেই ম্যাচ ধরে নেয় কোহালি-ডিভিলিয়ার্স জুটি। দু’জনে যোগ করেন ৬৩ রান। যখন ক্রমে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছেন কোহালি, তখনই বাউন্ডারি লাইনে ট্রেন বোল্টের অসাধারণ একটা ক্যাচ তাঁকে ফিরিয়ে দেয়। ২৬ বলে ৩০ রান করেন আরসিবি অধিনায়ক।

কিন্তু ডিভিলিয়ার্স বিধ্বংসী মেজাজে থাকায় আরসিবির সমস্যা হয়নি। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ১০টি চার ও পাঁচটি ছয়। ১২ বল বাকি থাকতে ছ’উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় আরসিবি। এবির প্রশংসা করে কোহালি বলেছেন, ‘‘দলে ডিভিলিয়ার্সের মতো ক্রিকেটার থাকলে আপনাকে বেশি চিন্তা করতে হয় না। ওর জন্যেই হাসি মুখে বাড়ি ফিরতে পারছি।’’ ম্যাচ শেষে জয়ের নায়ক বলে দিলেন, ‘‘কয়েকটি ম্যাচ থাকে, যেখানে শুরু থেকেই নিজেকে ‘ব্ল্যাক মাম্বা’ (আফ্রিকার বিষাক্ত সাপ) মনে হয়। আজ সে রকমই একটা দিন ছিল। প্রথম থেকেই প্রত্যেকটি বল খুব ভাল দেখতে পারছিলাম।’’ এবির ইনিংসের পাশে আরও একটা ব্যাপার নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেটা হল, ট্রেন্ট বোল্টের বিস্ময় ক্যাচ। হর্শল পটেলের ফুলটস বল ফ্লিক করে বাউন্ডারির বাইরে পাঠাতে গিয়েছিলেন কোহালি। ঠিক লাইনের সামনেই লাফিয়ে উঠে এক হাতে ক্যাচ ধরেন বোল্ট। মাটিতে পড়া অবস্থায় শরীর বাউন্ডারি লাইন ছোঁয়ার আগে যেন ব্রেক কষে নিজেকে থামিয়ে দেন নিউজিল্যান্ডের পেসার। বোল্টের এই বিস্ময় ক্যাচের পরেই রাজস্থান রয়্যালসের বেন স্টোকস টুইট করেন, ‘এটা ক্যাচ নয়। এই ধরনের ফিন্ডিংয়ের অন্য নাম দেওয়া উচিত।’

Advertisement

বোল্টের প্রশংসা করলেন বিরাট নিজেও। বলে দিলেন, ‘‘এই ধরনের ক্যাচে আউট হলে নিজেকে অপরাধী মনে হয় না। প্রথমে সত্যি বিশ্বাস করতে পারিনি, ক্যাচটা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু পরে মেনে নিয়েছি ক্রিকেটে সবই সম্ভব।’’ আরসিবি-র মতো দিল্লিও শুরুতেই দু’উইকেট হারিয়ে বেশ সমস্যায় পড়ে গিয়েছিল। তখনই ম্যাচের হাল ধরেন শ্রেয়স আইয়ার ও ঋষভ পন্থ। ৩১ বলে ৫২ রান করেন শ্রেয়স। ৪৮ বলে ৮৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে দিল্লিকে লড়াইয়ে ফেরান তরুণ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান পন্থ। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।

বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের পিচ ব্যাটিংয়ের স্বর্গ হিসেবে পরিচিত ক্রিকেটমহলে। সেই পিচেই তিন ওভার বল করে ২২ রানে দু’উইকেট নেন আরসিবি-র যুজবেন্দ্র চহাল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ২০ ওভারে ১৭৪-৫ (ঋষভ ৮৫, আইয়ার ৫২, চহাল ২-২২), আরসিবি ১৮ ওভারে ১৭৬-৪ (ডিভিলিয়ার্স অপরাজিত ৯০)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন