দ্বিশতরান ঈশ্বরনের, ধন্যবাদ দ্রাবিড়কে

শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে প্রথম বেসরকারি টেস্টে ওপেন করতে নেমে ২৩৩ রান করেন বাংলার ওপেনার। দ্বিতীয় দিন পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৬২২ রানে ডিক্লেয়ার করে ভারত ‘এ’। জবাবে দিনের শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৮৩-৪।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০১৯ ০৪:০৯
Share:

সফল: ভারত ‘এ’-র হয়ে ঈশ্বরনের ২৩৩ রান। ফাইল চিত্র

রঞ্জি ট্রফি থেকে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি। দু’টি সম্পূর্ণ আলাদা ফর্ম্যাটের টুর্নামেন্ট হলেও অভিমন্যু ঈশ্বরনের ব্যাট কথা বলেছে। গত তিন-চার বছর ধরেই প্রমাণ করে আসছেন, তিনি লম্বা রেসের ঘোড়া। ভারত ‘এ’ দলের জার্সিতে আরও এক বার বুঝিয়ে দিলেন, বিপক্ষে যত বড় বোলারই থাকুক না কেন, তাঁকে পরাস্ত করা বেশ কঠিন।

Advertisement

শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের বিরুদ্ধে প্রথম বেসরকারি টেস্টে ওপেন করতে নেমে ২৩৩ রান করেন বাংলার ওপেনার। দ্বিতীয় দিন পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৬২২ রানে ডিক্লেয়ার করে ভারত ‘এ’। জবাবে দিনের শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ৮৩-৪। শনিবার বেলগাওঁয়ে ১৮৯ রানে অপরাজিত থেকে প্রথম দিন শেষ করেছিলেন ঈশ্বরন। রবিবার সকলের প্রত্যাশা মতোই ডাবল সেঞ্চুরি এল তাঁর ব্যাটে। শ্রীলঙ্কা ‘এ’ দলের হয়ে খেলতে এসেছেন বিশ্ব ফের্নান্দো, আকিলা ধনঞ্জয়, লক্ষ্মণ সন্দকন, লাহিরু কুমারার মতো ক্রিকেটারেরা। বর্তমানে বিশ্বের দ্রুততম বোলারদের একজন কুমারা। কিন্তু তাঁদের বিরুদ্ধে ক্রিজ কামড়ে পড়েছিলেন অভিমন্যু। মোট ২২টি চার ও তিনটি ছক্কার সৌজন্যে এই ইনিংস গড়েন ২৩ বছর বয়সি ওপেনার।

ভারত ‘এ’-র হয়ে ডাবল সেঞ্চুরি করে আনন্দবাজারকে ঈশ্বরন বলেন, ‘‘বিপক্ষে যত বড় বোলারই থাকুক আমি কিন্তু কাউকে ভয় পাই না। বোলারের নাম দেখে খেলি না, বলের মান অনুযায়ী খেলি। রাহুল (দ্রাবিড়) স্যর বলেছিলেন, বোলার নয় বল দেখো। সেই পরামর্শ মনে গেঁথে গিয়েছে।’’

Advertisement

শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে বেসরকারি টেস্ট সিরিজ শেষ হয়ে যাওয়ার পরে জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যাচ্ছে ভারত ‘এ’। যে সফরের সদস্য ঋদ্ধিমান সাহাও। ঈশ্বরনও সে দলে রয়েছেন। ঋদ্ধিমানের কাছে সেই সিরিজ ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ হয়ে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু সেই সিরিজে ঈশ্বরনের কী লক্ষ্য? ডান হাতি ওপেনারের উত্তর, ‘‘ভারত ‘এ’ সিরিজ শেষ হওয়ার পরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর রয়েছে ভারতীয় দলের। যদি রানের মধ্যে থাকি, তা হলে আমার জন্য নতুন দরজা খুলে যেতে পারে।’’ নতুন দরজা মানে? ‘‘অবশ্যই ভারতীয় টেস্ট দলে সুযোগের কথা বলছি।’’ টেস্ট খেলার স্বপ্ন ছোটবেলা থেকেই দেখেন ঈশ্বরন। কিন্তু স্বপ্ন তো অনেকেই দেখেন। তা বাস্তবায়িত করার জন্য কতটাই বা পরিশ্রম করেন। ঈশ্বরন ব্যতিক্রম। তাঁর অফ-সিজ়ন বলে কিছু নেই। সারা বছর ফিজিক্যাল ট্রেনিং করেন। কখন ভারতের হয়ে টেস্ট খেলার সুযোগ আসবে তা বলা যায় না, ‘‘আমার এই নিষ্ঠা আগে থেকেই ছিল। তবে রাহুল স্যরের সঙ্গে কাজ করে তা আরও বেড়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement