প্রথমে ডন ব্র্যাডম্যান এবং বিল পন্সফোর্ড। এর পরই তালিকায় নাম উঠে গেল অ্যাডাম ভোজেস (২৬৯ নঃআঃ) আর শন মার্শের (১৮২)। অস্ট্রেলিয়ার সর্বকালের সেরা টেস্ট পার্টনারশিপের তালিকায়। তবে একটা ব্যাপারে ডনদেরও ছাপিয়ে গেলেন ভোজেস-মার্শ।
ব্র্যাডম্যান-পন্সফোর্ডের ১৯৩৪-এর অ্যাসেজ সিরিজে দ্বিতীয় উইকেটে ৪৫১ রানের পার্টনারশিপটা টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকালের সর্বোচ্চ পার্টনারশিপগুলোর তালিকায় যুগ্ম চতুর্থ স্থানে থাকলেও কোনও বিশ্বরেকর্ড হিসেবে নেই। কিন্তু শুক্রবার বেলেরিভ ওভালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভোজেস-মার্শ পার্টনারশিপে তার চেয়ে দু’রান কম (৪৪৯) উঠেও চতুর্থ উইকেটে টেস্ট ক্রিকেটের নতুন বিশ্বরেকর্ড হল। চতুর্থ উইকেটে এত দিন টেস্টে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ ছিল ৪৩৭ রান। ২০০৯-এ পাকিস্তান সফরে শ্রীলঙ্কার জয়বর্ধনে-সমরবীরা জুড়ির। সব মিলিয়ে এ দিনের ভোজেস-মার্শের ৪৪৯ রানের পার্টনারশিপ টেস্টে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপের তালিকায় উঠে এসেছে পাঁচ নম্বরে।
এ দিন শেষ পর্যন্ত ৫৮৩-৪ স্কোরে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংস ছেড়ে দেওয়ার পর ক্যারিবিয়ান বোলিংয়ের লজ্জা কিছুটা হলেও হয়তো মিটতে পারে ডারেন ব্র্যাভোর ব্যাটিংয়ে। ৯৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন এই স্টাইলিশ বাঁ-হাতি। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ যথারীতি সঙ্কটে। দ্বিতীয় দিনের শেষে তারা ২০৭-৬। এখনও ৩৭৬ রানে পিছিয়ে। নাথান লায়নের (৩ উইকেট) স্পিনেই প্রায় ধরাশায়ী ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং। প্রথম দিনই অস্ট্রেলিয়া ৪৩৮-৩ তোলার পর প্রশ্ন উঠেছিল কতটা একপেশে হতে পারে হোবার্ট টেস্ট। ব্র্যাভোর ব্যাটে সেই প্রশ্নে কতটা চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারে ক্যারিবিয়ানরা সেটাই এখন দেখার।