ইন্ডিয়ান সুপার লিগকে সরকারি লিগের তকমা দিয়ে দিল এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন। পরের মরসুম থেকে আইএসএল চ্যাম্পিয়নরা খেলতে পারবেন এ এফ সি কাপে। আই লিগের ক্লাবগুলি বিরোধিতা করায় এত দিন আটকে ছিল সব কিছু।
নীতা অম্বানী পরিচালিত লিগকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য কুয়ালালামপুরে গিয়ে সওয়াল করেছিলেন খোদ ফেডারেশনের শীর্ষ পদাধিকারীরা। এশীয় কর্তারা তা মেনেও নিলেন এবং চিঠি পাঠালেন দিল্লির ফুটবল হাউসে। সেখানে অবশ্য বলে দেওয়া হল, এ এফ সি টুনার্মেন্ট খেলার পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। আইএসএলের দশ ফ্র্যাঞ্চাইজির মধ্যে বেশিরভাগেরই যা নেই। ফেডারেশন কর্তারা অবশ্য এটা নিয়ে হইচই করতে চাইছেন না। বিতর্কের ভয়ে। তার উপর আজ বৃহস্পতিবার আই লিগ ক্লাবগুলির সঙ্গে সভা আছে ফেডারেশনের। সেখানে অবশ্য বলা হবে, আই লিগই দেশের এক নম্বর টুর্নামেন্ট। কারণ আই লিগ চ্যাম্পিয়নরাই খেলবে এ এফ সি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।
কিন্তু আদতে যে এটা ছেলে ভোলানো খেলনার মতো ব্যাপার তা পরিষ্কার। কারণ এমনিতেই ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান-সহ আই লিগে খেলা ক্লাবগুলিকে কার্যত দ্বিতীয় ডিভিশনের লিগে নামিয়ে দেওয়ার মতো ব্যাপার হচ্ছে এ বার। ক্লাবদের কোনও দাবিকেই পাত্তা দিচ্ছেন না আইএমজি-আর কর্তারা। এই অবস্থায় আই লিগকে আরও অন্ধকারে ঠেলতে গত তিন বছর ধরে চলা বিনোদনের টুনার্মেন্ট হিসাবে পরিচিত পাঁচশো কোটির আইএসএলকে স্বীকৃতি দিয়ে দেওয়া হল অনেক নিয়ম না মেনেই। আই লিগের মতো আইএসএলে অবনমন নেই। এ এফ সি-র নিয়মে যা থাকা বাধ্যতামূলক। শোনা যাচ্ছে, এর পর আইএসএলের দ্বিতীয় ডিভিশন এবং বয়সভিত্তিক টুনার্মেন্ট করার দিকে এগোতে পারে আইএমজি-আর। যা হলে, দেশের ক্লাবগুলি আরও বিপন্ন হবে। সোজা কথা, ফেডারেশনকে কার্যত ঠুঁটো করার দিকে এগোচ্ছে স্পনসররা।
আরও পড়ুন: বিশ্ব মঞ্চেও আইপিএল আলোড়ন
আর এই তীব্র চাপের আবহে আজ আই লিগের ক্লাবেরা দাবিপত্র নিয়ে হাজির হচ্ছে ফেডারেশনের দরবারে। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, আইজল এফ সি, শিলং লাজং বা চার্চিল ব্রাদার্সের মতো ক্লাবগুলি কী চাইতে যাচ্ছে? এক) টিমের আসা-যাওয়া, হোটেল খরচের জন্য যে ৪৫ লাখ টাকা দেওয়া হত সেটা বাড়িয়ে এক কোটি করা হোক। দুই) পুরস্কার অর্থ বাড়ানো হোক। তিন) আইএসএলের ম্যাচ যেভাবে সম্প্রচার হয় আই লিগ, সেভাবেই হোক এবং সেটা একই চ্যানেলে। চার) দু’টি লিগের বিপণন বা প্রচার একই রকম হোক। পাঁচ) পাঁচ জন করে বিদেশি খেলুক দুই লিগেই। ছয়) খেলা দেওয়া হোক শুক্র থেকে রবিবারের মধ্যে।
দুই প্রধান-সহ আই লিগ ক্লাবদের দাবিগুলি কতটা মানা হবে তা নিয়ে জল্পনা চলছে। যা খবর, পাঁচ বিদেশি খেলানোর দাবি মানা হবে। আর্থিক দাবিও হয়তো কিছু মানা হবে হইচই থামাতে। তবে সেটা নগণ্য। ফেডারেশনের এক সিনিয়র কর্তা বললেন, ‘‘দু’তিন কোটি টাকা হয়তো বাড়তি খরচ করা হবে। স্পনসররা কখনও চাইবে না, তাদের নিজেদের আইএসএলকে টপকে যাক আই লিগ। তা সম্ভবও নয়। টাকাটা তো নীতা অম্বানীর কোম্পানিই দেবে।’’
সভায় যা সিদ্ধান্তই হোক না কেন, একটা জিনিস পরিষ্কার হয়ে যাবে। দশ দলের লিগের জন্য নতুন ক’টা টিম আই লিগে নেওয়া হবে। একটা না, দু’টো।
রাজ্য মিট তারকাহীন: স্বপ্না বর্মণ থেকে দেবশ্রী মজুমদার, রাজশ্রী প্রসাদ থেকে লিলি দাশ। আজ বৃহস্পতিবার সল্টলেক সাইতে শুরু হতে যাওয়া রাজ্য অ্যাথলেটিক্স মিটে রাজ্যের তারকা অ্যাথলিটরা প্রায় কেউঃই নামছেন না। বেশিরভাগই জাতীয় শিবিরে থাকার কারণে, কয়েকজন প্রস্তুত হচ্ছেন এশীয় প্রতিযোগিতার জন্য। প্রতিযোগিতা চলবে রবিবার পর্যন্ত। তবে ১২০০ অ্যাথলিট নামছেন। সবথেকে বড় দল নামাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল।