সেরিনা-দর্শন

হারলাম কোথায়, আমি তো জিতেছি

স্টেফি গ্রাফকে ছোঁয়া হয়নি। ক্যালেন্ডার স্ল্যাম অধরা থেকে গিয়েছে। ফাইনালে ওঠার যুদ্ধে মাত খেয়েছেন অনামী বিপক্ষের কাছে। সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ওপেন স্মৃতি মোটেও সুখকর হওয়ার কথা নয় সেরিনা উইলিয়ামসের। তবু মার্কিন টেনিস তারকা মনে করেন, ফ্লাশিং মেডোয় তিনি হারেননি। উল্টে জিতেছেন। শিখেছেন। শুধু তাই নয়, সেমিফাইনালে তাঁর সংহারক রবার্তা ভিঞ্চির জন্যেও প্রচণ্ড খুশি সেরিনা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নিউ ইয়র্ক শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ০৪:২০
Share:

যুক্তরাষ্ট্র ওপেনে এ বার ব্যর্থ, তবে নিজের ফ্যাশন লাইনের শো-এ দারুণ অভ্যর্থনা পেলেন সেরিনা উইলিয়ামস। ফ্যাশন শো শেষে র‌্যাম্পে আত্মপ্রকাশ ঘটালেন নিজেরই ডিজাইন করা অভিনব পোশাকে। মার্কিন তারকা বলছেন, এ ধরনের পোশাক এখন দারুণ জনপ্রিয়। ছবি: টুইটার।

স্টেফি গ্রাফকে ছোঁয়া হয়নি। ক্যালেন্ডার স্ল্যাম অধরা থেকে গিয়েছে। ফাইনালে ওঠার যুদ্ধে মাত খেয়েছেন অনামী বিপক্ষের কাছে। সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ওপেন স্মৃতি মোটেও সুখকর হওয়ার কথা নয় সেরিনা উইলিয়ামসের। তবু মার্কিন টেনিস তারকা মনে করেন, ফ্লাশিং মেডোয় তিনি হারেননি। উল্টে জিতেছেন। শিখেছেন। শুধু তাই নয়, সেমিফাইনালে তাঁর সংহারক রবার্তা ভিঞ্চির জন্যেও প্রচণ্ড খুশি সেরিনা।

Advertisement

‘‘আমাদের একে অন্যের জন্য তো খুশিই হওয়া উচিত, তাই না?’’ একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন সেরিনা। যার কিছুক্ষণ আগে নিজের ফ্যাশন লাইন ‘সেরিনা উইলিয়ামস সিগনেচার কালেকশন’-এর নতুন পোশাকের সম্ভার উদ্বোধন করে ফেলেন তিনি। হাই-প্রোফাইল রানওয়ে শো দেখতে উপস্থিত ছিলেন ভোগ ম্যাগাজিনের বিখ্যাত সম্পাদক আনা উইন্টর-সহ ফ্যাশন জগতের নানা নক্ষত্র। ছিলেন র‌্যাপ তারকা ড্রেকও। ফ্লাশিং মেডোর গ্যালারিতে যাঁর উপস্থিতি সেরিনার হারের অন্যতম কারণ, এমন একটা কুসংস্কার ঘুরপাক খাচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রে হারের পর থেকে।

তবে সেরিনা নিজে হার নিয়ে আর ভাবছেনই না। ‘‘যাদের কাছে হারছি, তাদের উপর রাগ করার কোনও মানে নেই। আরে, আমি তো পরপর চারটে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছি। অন্যটাতেও সেমিফাইনালে উঠেছি। কত জন এটা করে দেখাতে পেরেছে বলুন তো?’’ বলে সেরিনা আরও যোগ করেছেন, ‘‘ওটাকে আমি হার হিসেবে দেখছিই না। জয় হিসেবে দেখছি। শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখছি। আর আমি তো কম চেষ্টা করিনি। দুর্ভাগ্য যে, যার বিরুদ্ধে খেলছিলাম সে আমার চেয়ে সে দিন বেশি ভাল খেলে দিয়েছিল। তাই জয়টা বোধহয় ওরই প্রাপ্য ছিল। আর ওর জন্য আমি খুশি।’’

Advertisement

টেনিস কোর্টের অবিরাম চাপ কী ভাবে সামলান, সেটাও খোলসা করে বলেছেন সেরিনা। তাঁর কাছে টেনিস কেরিয়ারের যাবতীয় চাপ সামলানোর টোটকা ফ্যাশন ডিজাইনিং। ‘‘টেনিস নিঃসন্দেহে আমার প্রথম ভালবাসা। কিন্তু মাঝেমধ্যে টেনিস থেকে একটা ব্রেকও দরকার হয়। ডিজাইনিং আমার ভীষণ প্রিয়। এটা নিয়ে একটা প্যাশন আছে আমার,’’ বলেছেন সেরিনা।

অবশ্য ডিজাইনার অবতারেও কম চাপ থাকে না সেরিনার উপর। কোর্টে নামলে যেমন তাঁর কাছ থেকে জয় ছাড়া কিছু আশা করেন না ফ্যানেরা, রানওয়েতেও ব্যাপারটা তেমনই। বিশেষ করে তাঁর প্রথম কালেকশন প্রচণ্ড জনপ্রিয় হওয়ায় দ্বিতীয় বারও সেরিনার কাছ থেকে দারুণ কিছুর আশা নিয়ে বসে ছিল ফ্যাশন দুনিয়া। নিউইয়র্কের কোর্টে এ বার হতাশ করলেও রানওয়েতে সেটা পুষিয়ে নিলেন সেরিনা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন