সমস্যা মেটাতে আসরে নামলেন সনি, বোয়াও।
কর্তারা ব্যস্ত নির্বাচনী প্রচারে। অথচ মোহনবাগান রয়েছে চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে। এই অবস্থায় আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠল বেতন সমস্যা। বেশ কিছু ফুটবলারের কয়েক মাসের বেতন বাকি। শনিবারই স্পোর্টিং ক্লুবের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তার আগে এই সমস্যা মেটাতে ক্লাবের অর্থসচিব দেবাশিস দত্ত তড়িঘড়ি এগিয়ে আসেন। ফোনে সনি নর্ডিদের আশ্বস্ত করেন, নির্বাচনের পরই বেতন নিয়ে সমস্যা মিটে যাবে।
মরসুম শেষ হওয়ার মুখে। স্বভাবতই বকেয়া বেতনের জন্য মঙ্গলবার আবার সরব হয়েছিলেন ফুটবলাররা। ক্লাব সূত্রের খবর, বেশ কয়েক জন ফুটবলার গোয়ায় খেলতে যাবে না বলে ঘুরিয়ে চাপ দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে ক্লাবের অর্থসচিবের আশ্বাস পেয়েই স্থানীয় ফুটবলারদের নিয়ে এ দিন আলোচনায় বসেন বিদেশি ফুটবলাররা। সনি-বোয়ারা নাকি বাকিদের বুঝিয়ে বলেছেন, ‘‘১৭ তারিখ ক্লাবের নির্বাচন। তার আগের দিন আমাদের স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে। যে ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট পেলে চ্যাম্পিয়নশিপের দিকে আমরা অনেকটাই এগিয়ে যাব। তার জন্যই সব সমস্যা ভুলে গোয়ায় সেরাটা দিতে হবে। কর্তারা যখন আশ্বাস দিয়েছেন, তখন নিশ্চয়ই কথা রাখবেন।’’
আসলে স্পনসরদের সমস্যার জন্য নাজেহাল হতে হচ্ছে গঙ্গাপারের ক্লাবকে। কখনও সভাপতি টুটু বসু ফুটবলারদের বেতনের টাকা দিচ্ছেন। কখনও বা কর্তারা ধার করে কোনও মতে টিম চালাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে ফুটবলারদের বেতন মাঝেমাঝেই বকেয়া থেকে যাচ্ছে। সনি অবশ্য এ দিন ফোনে বলেন, ‘‘আর্থিক যে সমস্যা ছিল, সেটা আমরা কলকাতায় ফেলে রেখেই গোয়া যাব। আমাদের কাছে স্পোর্টিং ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট পেতেই হবে।’’
এ দিকে টেলিকাস্ট সমস্যার জন্য বেঙ্গালুরু-মোহনবাগান ম্যাচ একদিন পিছিয়ে গেল। বেঙ্গালুরুতে এই ম্যাচ ৩০ মে-র বদলে ৩১ মে হবে।