আই লিগের বিদেশি ফুটবলারের সংখ্যা বাড়ানো নিয়ে ঝামেলা ঝুলেই রইল। যার জেরে আট বিদেশি নথিভুক্তির সিদ্ধান্তে বুধবার সরকারি সিলমোহর দিতে পারল না ফেডারেশনের লিগ কমিটি। পুরো বিষয়টি তারা পাঠিয়ে দিল ফেডারেশনের কর্মসমিতির কোর্টে।
শোনা যাচ্ছে কর্মসমিতির সভা হলে তা উত্তপ্ত হতে পারে। সেপ্টেম্বরের আগে তা হওয়ার সম্ভাবনাও কম। দিল্লি থেকে ফোনে লিগ কমিটির চেয়ারম্যান সুব্রতবাবু বললেন, ‘‘বিদেশি কমানো-বাড়ানোর ব্যাপারে আমরা মত দিতে পারি না। তাই কর্মসমিতিতে পাঠিয়ে দিয়েছি।’’
বিদেশির সংখ্যা চার থেকে বাড়িয়ে আট করার প্রস্তাব ছিল কলকাতার দুই প্রধানের। গত বৃহস্পতিবার দিল্লির সভায় বুঝিয়ে-সুঝিয়ে সব ক্লাবকে রাজি করিয়েও ফেলেছিলেন তারা। কিন্তু সভার পর আইজল, চেন্নাই, পঞ্জাবের টিমের কর্তারা হিসাব করে দেখেন, এটা হলে তাঁরা আর্থিকভাবে আরও ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। কম খরচে ঘরের ছেলেদের খেলানোর পথও বন্ধ হয়ে যাবে। সেই ভাবনা থেকেই শিলং লাজংয়ের কর্ণধার লারসেন মিং এর নেতৃত্বে পাঁচটি ক্লাব বিদ্রোহী হয়ে চিঠি দেয় ফেডারেশনকে। মিংকে এ দিন ফোনে পাওয়া যায়নি। আই লিগ চ্যাম্পিয়ন আইজল এফসি-র মালিক রবার্ট রয়তে আইজল থেকে ফোনে বললেন, ‘‘আমরা চার বিদেশির পুরানো নিয়মই রাখার পক্ষপাতী।’’ মিনার্ভা পঞ্জাবের মালিক রঞ্জিত বাজাজ লুধিয়ানা থেকে বললেন, ‘‘এটা হলে আমাদের ঘরের ছেলেদের খেলার সুযোগই তো কমে যাবে।’’ এই অবস্থায় কলকাতার দুই প্রধানের কর্তারা অবশ্য মুখ খুলতে চাইছেন না। তাদের আশা, ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট আট বিদেশির পক্ষেই মত দেবেন।