আই লিগ থেকে পুণের দু’টি টিম নাম তুলে নেওয়ার খবরে দেশ জুড়ে যখন আলোড়ন, তখন লন্ডনে ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট প্রফুল্ল পটেল। দিল্লিতে ফেরার কথা সোমবার। ফেডারেশন সূত্রের খবর, মঙ্গলবার তিনি আলোচনায় বসবেন পুণে এফসি এবং ভারত এফসি কর্তাদের সঙ্গে।
কিন্তু সেখানেও সমাধান সূত্র মেলার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। কারণ, আর্থিক ভাবে বিরাট ক্ষতিগ্রস্ত দুই টিমের কর্তারাই আর টিম চালাতে আগ্রহী নন। শুধু তাই নয়, ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট দু’দলকে এক সঙ্গে মিলে একটি টিম করার প্রস্তাব দেবেন বলে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতেও আগ্রহী নন দু’ক্লাবের কর্তারাই। সরকারি ভাবে অবশ্য পুণের দুই ক্লাবের পক্ষ থেকে ফেডারেশনকে টিম তুলে নেওয়ার ব্যাপারে কোনও চিঠি দেওয়া হয়নি। আই লিগের সিইও সুনন্দ ধর বললেন, ‘‘আমরাও খবরের কাগজ পড়ে এই খবর জেনেছি। কেউ আমাদের কিছু জানায়নি। শুনেছি প্রেসিডেন্ট দেশে ফিরে ওদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। এ ব্যাপারে আর কিছু আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়।’’ আসলে ফেড কাপ তুলে দেওয়ার পর আই লিগের ক্লাবগুলি ক্রমশ আগ্রহ হারাচ্ছে। মাত্র একটি টুর্নামেন্টের কুড়িটি ম্যাচের জন্য কেউ দশ-বারো কোটি টাকা খরচ করতে রাজি নয়। স্পনসররাও আগ্রহ হারাচ্ছে। যদিও তাতে কোনও হেলদোল নেই ফেডারেশন কর্তাদের। শুধু মাঝে মাঝে বিদেশ সফর আর কোনও ক্রমে আই লিগ টিকিয়ে রেখেই তাঁদের দায় যেন শেষ!
পুণে এখনও তাদের কোচ নিয়োগ করেনি। শুরু করেনি প্র্যাকটিসও। ভারত এফসি-র হাল তার চেয়েও খারাপ। তাদের বিদেশি কোচ এসে বসে রয়েছেন। পুণে সই করানো ফুটবলারদের জানিয়ে দিয়েছে, সিনিয়র টিম আর রাখা হবে না। পুণেতে ফোন করে জানা গেল, ভারত এফসি এখনও কোনও ফুটবলারকে সই-ই করায়নি।
দু’টি টিম সরে দাঁড়ানোর ধাক্কার মাঝেই অবশ্য সুখবর, ফ্র্যাঞ্চাইজি টিমের বি়জ্ঞাপন দেখে দক্ষিণ ভারত এবং গুজরাটের দু’টি বড় কোম্পানি টিম তৈরির জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে। সুনন্দবাবু বললেন, ‘‘দক্ষিণের কোম্পানিটা চেন্নাই এবং বেঙ্গালুরুতে মূলত ব্যবসা করে। ওদের লোকজন এসে আমার সঙ্গে কথা বলে গিয়েছেন। গুজরাতের কোম্পানির লোকজনও শুনলাম খোঁজখবর নিচ্ছেন।’’ জানা গিয়েছে, পুণের দু’টি টিম তুলে নিলেও এগারো দলের আই লিগ করতে চায় ফেডারেশন। দেখার, শেষ পর্যন্ত তা সম্ভব হয় কি না!