মোহনবাগান ম্যাচের আগে খেতাব চান খালিদ

মরসুমের শুরুতে তাঁর কোনও ক্লাব ছিল না। কোচিং করাতে চেয়ে নিজেই আবেদন করেছিলেন আইজল এফসি-র কর্তাদের কাছে। সেই খালিদ জামিলের কোচিংয়েই ১৪ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে আই লিগ টেবলের শীর্ষে আইজল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৭ ০৪:১১
Share:

সঙ্কল্প: শেষ ম্যাচের আগেই চ্যাম্পিয়ন হতে চান খালিদ। ছবি: ফেসবুক

মরসুমের শুরুতে তাঁর কোনও ক্লাব ছিল না। কোচিং করাতে চেয়ে নিজেই আবেদন করেছিলেন আইজল এফসি-র কর্তাদের কাছে। সেই খালিদ জামিলের কোচিংয়েই ১৪ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে এই মুহূর্তে আই লিগ টেবলের শীর্ষে আইজল।

Advertisement

কিন্তু খেতাবের কাছাকাছি পৌঁছেও স্বস্তিতে নেই খালিদ। তাঁর উদ্বেগের প্রধান কারণ— মোহনবাগানের দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন।

সহকারী কোচকে নিয়ে শনিবার আইজল থেকে রবীন্দ্র সরোবর স্টেডিয়ামে চলে এসেছিলেন তিনি। কিন্তু বেঙ্গালুরু এফসি-র বিরুদ্ধে সনি নর্দে, কাতসুমি ইউসা-র দুরন্ত পারফরম্যান্স দেখে একরাশ দুশ্চিন্তা নিয়ে ম্যাচ শেষ হওয়ার আগেই মাঠ ছাড়েন তাঁরা। রবিবার বিকেলে আইজল থেকে ফোনে খালিদ বললেন, ‘‘মোহনবাগান দারুণ দল। সনি, কাতসুমি ও ডাফি অবিশ্বাস্য ফর্মে রয়েছে। তবে এই মুহূর্তে আমি ম্যাচ ধরে ধরে এগোতে চাই। ৯ এপ্রিল বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে খেলব আমরা। তার পর চার্চিল ব্রাদার্স (১৫ এপ্রিল)। শেষ ম্যাচে আমাদের প্রতিপক্ষ মোহনবাগান (২২ এপ্রিল)। তাই এখন বেঙ্গালুরুকে নিয়েই ভাবতে চাই।’’ সঙ্গে যোগ করলেন, ‘‘মোহনবাগান দারুণ শক্তিশালী দল। কিন্তু আমি কোনও ঝুঁকি নিতে চাই না। বেঙ্গালুরু ও চার্চিলকে হারালে খেতাবের অনেকটাই কাছাকাছি পৌঁছে যাব। সেক্ষেত্রে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে অনেক চাপমুক্ত হয়ে খেলতে পারবে ছেলেরা।’’

Advertisement

আইজলকে ভারতীয় ফুটবলে ‘লেস্টার সিটি’ বলছেন প্রাক্তন তারকারা। ঘরের মাঠে এখনও পর্যন্ত কোনও ম্যাচ হারেনি তারা। দুর্দান্ত সাফল্যের রহস্য কী? খালিদ বলছেন, ‘‘কৃতিত্ব ফুটবলারদেরই। প্রত্যেকেই নিজেদের সেরাটা দিচ্ছে। আমি শুধু ওদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছি।’’

ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার খালিদ চোটের জন্য বছর দশক আগে অবসর নিতে বাধ্য হন। ২০০৯ সালে কোচ হিসেবে যোগ দেন মুম্বই এফসি-তে। টানা সাত বছর তাঁর কোচিংয়েই আই লিগে খেলেছে মুম্বই এফসি। এই প্রথম মুম্বইয়ের বাইরে কোচিং করাচ্ছে খালিদ। বললেন, ‘‘গত বছর মরসুম শেষ হওয়ার পর মুম্বই কর্তারা কেউ যোগাযোগ করেননি। তাতে খারাপ লাগলেও ভেঙে পড়েনি, নিজেকে প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে আইজল কর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। ওঁরা সুযোগ দিয়েছিলেন বলেই এই জায়গায় আসতে পেরেছি। আইজলকে চ্যাম্পিয়ন করেই প্রতিদান দিতে চাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন