ম্যাগনাস কার্লসেনকে হারানোর পর দু’টি ড্র করে একটু পিছিয়ে পড়েছিলেন। বৃহস্পতিবার কিন্তু ফের স্বমেজাজে দেখা গেল বিশ্বনাথন আনন্দকে। নরওয়ের লুডভিগ হ্যামারকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখলেন তিনি। পাশাপাশি জিইয়ে রাখলেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আশাও।
দু’দিন আগেই হ্যামার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কার্লসেনের কাছে ঘরোয়া আলাপচারিতায় জানতে চেয়েছিলেন, তাঁর বিরুদ্ধে সবাই কেন ইংলিশ ওপেনিংয়ে শুরু করে? জবাবে কার্লসেন তাঁকে বলেছিলেন, “তোমার দুর্বলতা বুঝে সবাই তা-ই করবে।’’ হ্যামার কিন্তু নিশ্চিত ছিলেন, আর যে-ই হোক আনন্দ তাঁর বিরুদ্ধে এই ওপেনিং করবেন না। হ্যামারকে চমকে এ দিন সেই ইংলিশ ওপেনিংয়েই বাজিমাত করলেন প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। পরে আনন্দ বলেন, “আমাকে ওই ভাবে ওপেন করতে দেখে প্রথমেই গুটিয়ে গিয়েছিল হ্যামার। আর ফিরে আসতে পারেনি।”
এ দিনের জয়ের ফলে শীর্ষে থাকা টোপালভের সঙ্গে আনন্দের পয়েন্টের ফারাক দাঁড়াল আধ পয়েন্টের। নেদারল্যান্ডসের দাবাড়ুর কাছে হেরে আনন্দকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ করে দেন অবশ্য টোপালভই। এর ফলে শেষ ম্যাচ আনন্দের কাছে দাঁড়াল কার্যত নক আউটের মতো। কালো ঘুঁটিতে সেই ম্যাচ জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হবেন আনন্দ। পাশাপাশি ড্র করলেই খেতাব মুঠোয় পুরবেন টোপালভ।