আগ্রাসী উচ্ছ্বাস থেকে আবেগের বাঁধ ভাঙতে বেশি সময় লাগল না অ্যান্ডি মারের। দ্বিতীয় উইম্বলডন খেতাব জিতে আনন্দাশ্রু ঝরে পড়তে লাগল মাত্র কয়েক সেকেন্ড। যে ইভান লেন্ডল খেলোয়াড় জীবনে ছিলেন ইস্পাত কঠিন, এখন মারের কোচ সেই লেন্ডলকেও দেখা গেল ছাত্রের আবেগ দেখে সেন্টার কোর্টের গ্যালারিতে ভেজা চোখে দাঁড়িয়ে।
মিলোস রাওনিচকে ৬-৪, ৭-৬ (৭-৩), ৭-৬ (৭-২) হারিয়ে তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেতাব জিতলেন মারে। মাত্র তিন সপ্তাহ আগেই কুইন্স ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিলেন এই দু’জন। সে দিনের ধার অবশ্য রবিবার দেখাতে পারেননি জায়ান্ট কিলার রাওনিচ। বরং ম্যাচ যত গড়িয়েছে, মারেকে তত অপ্রতিরোধ্য দেখিয়েছে। রাওনিচ একেবারে লড়েননি, তা নয়। কিন্তু ২৯টা আনফোর্সড এরর দু’বারের টাইব্রেকারেই কানাডিয়ানের কাল হয়ে ওঠে।
প্রথম সেটে এক বার সার্ভিস ব্রেক করে ও পরের দু’সেটেই টাইব্রেকার জিতে বিশ্বের দু’নম্বর টেনিস তারকা দ্বিতীয় বার তাঁর ঘরের মাঠের গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতে নেন। এর আগে ২০১৩-এ এখানেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন মারে। তার আগের বছর যুক্তরাষ্ট্র ওপেনও জিতেছিলেন। এ দিন প্রায় পৌনে তিন ঘণ্টায় উইম্বলডন জিতে উঠে মারে বললেন, ‘‘উইম্বলডনের ট্রফি ফের ছুঁতে পেরেই ভাল লাগছে। এখানে যেমন অসাধারণ কিছু মুহূর্ত আছে, তেমনই কিছু কঠিন হারও আছে আমার। সে জন্যই এই জয়টা আমার কাছে স্পেশ্যাল।’’ অন্য দিকে নোভাক জকোভিচের ঘাতক স্যাম কুয়েরি ও রজার ফেডেরারকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠা রাওনিচ বলেন, ‘‘উইম্বলডনে অ্যান্ডি মারেকে হারানো কতটা কঠিন, সেটা আজ বুঝলাম।’’
গ্যালারিতে যখন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, স্কটিশ ক্রীড়ামন্ত্রী এবং সে দেশের টেনিসের তারকারা, সেখানে যে একটা অন্য ধরনের চাপ থাকে, তা স্বীকার করে নিয়ে মারে বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী যেখানে আমার খেলা দেখতে হাজির, সেখানে খেলাটা বেশ কঠিন হয়ে ওঠে। মনে হয় জেতাটাও অসম্ভব।’’
সেই অসম্ভবকে অবশ্য এ দিন সম্ভব করেই দেখালেন মারে।