দি মারিয়ার দিনে। -রয়টার্স
মাস খানেক আগেই তাঁর জায়গা ছিল রিজার্ভ বেঞ্চে। হতাশ, বিষণ্ণ, আশাহত। পুর্নজন্ম হল ১৪ ফেব্রুয়ারি প্যারিসের মায়াবি রাতে। তাঁর ২৯তম জন্মদিনের রাতে। অ্যাঙ্খেল দি মারিয়া দেখিয়ে দিলেন, এ ভাবেও ফিরে আসা যায়। বার্সেলোনার মতো মহাশক্তিধর প্রতিপক্ষকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মঞ্চে করে দেওয়া যায় ম্লান। যাঁদের সবচেয়ে বড় তারকা আবার তাঁরই দেশোয়ালি সতীর্থ। লিওনেল মেসি।
গায়ে চিমটি কেটেও যেন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না মঙ্গলবার প্যারিস সঁ জরমঁ সমর্থকরা। যা দেখছেন সত্যি তো! বিশ্বখ্যাত এমএসএনের টিমকে তাঁদের ক্লাব চার গোলে হারাচ্ছে! এত দিন উল্টোটাই সহ্য করতে হয়েছে তাঁদের। গত চার বছরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগেই তো দু’বার ছিটকে দিয়েছে প্যারিস সঁ জরমঁকে মেসিদের ক্লাব। আজ হঠাৎ কী হল!
পার্থক্যটা গড়ে দিয়েছেন দি মারিয়া। দুই অর্ধে দুটো গোল করে। প্রথম গোলটা চোখজুড়োনো বাঁকানো ফ্রি-কিক থেকে। দ্বিতীয়টা বার্সার বক্স থেকে শটে। দুটো গোলের পরই তাঁর প্রথাগত উৎবের ভঙ্গিতে— দু’হাতের আঙুল দিয়ে হৃদয় চিহ্ন দেখানোর।
তবে কিছুদিন আগেও দি মারিয়ার হৃদয় প্যারিস সঁ জরমেঁর ম্যাচে কিন্তু ছিল না। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি প্লেয়ারকে দি মারিয়াকে (৬৩ মিলিয়ন ইউরো) প্রথম একাদশের বাইরে রেখেছিলেন কোচ উনাই এমেরি। তবে বর্দুর বিরুদ্ধে ম্যাচ থেকে ছন্দে ফেরেন আর্জেন্তিনীয় তারকা। একটি গোল করেছিলেন সেই ম্যাচে। তাঁর দল জিতেছিল ৩-০।