হতাশা: পারলেন না মাদার সেরিনা। ফাইনালে উঠেও হার।
রূপকথার দৌড় থেমে গেল সেরিনা উইলিয়ামসের। মেয়ে হওয়ার মাত্র ১১ মাস পরে উইম্বলডনে নেমে আট নম্বর ট্রফি জয়ের সামনে চলে এসেছিলেন। কিন্তু চূড়ান্ত লড়াইয়ে সেরিনা ৩-৬, ৩-৬ হার মানেন জার্মানির অ্যাঞ্জেলিক কের্বারের কাছে।
এ বার চ্যাম্পিয়ন হলেই ২৩ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ী সেরিনা ছুঁয়ে ফেলতেন মার্গারেট কোর্টকে। সর্বোচ্চ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ড যাঁর দখলে। সেটা না পারলেও সেরিনার এই দুরন্ত প্রত্যাবর্তনও কম চমকপ্রদ নয়। সেরিনার খেলা দেখতে এ দিন সেন্টার কোর্টে হাজির ছিলেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নববধূ ও তাঁর বন্ধু মেগান মার্কলও। ছিলেন কিংবদন্তি গল্ফার টাইগার উডস।
এ রকম তারকা সমাবেশে ম্যাচ হারলেও সেরিনা হতাশ হচ্ছেন না। ‘‘আমার জন্য অসাধারণ গেল এ বারের উইম্বলডন। এত দূর আসতে পেরে সত্যিই খুব আনন্দ হচ্ছে। হারটা অবশ্যই হতাশার। তবে আমি হতাশ হচ্ছি না। বলতে গেলে আমি তো আবার সদ্য শুরু করেছি খেলা,’’ বলেন সেরিনা। কোর্টে তাঁর কথার পরেই সঞ্চালক বলে ওঠেন, ‘‘আপনি সুপারহিরো সুপারমাম’’। সেরিনা কোনও রকমে কান্না সামলে বলেন, ‘‘সমস্ত মায়েদের বলছি, আজ আমি আপনাদের জন্য খেলছিলাম। আমি চেষ্টা করেছি শেষ পর্যন্ত। অ্যাঞ্জেলিক আজ দুর্ধর্ষ খেলেছে। শুধু খেলোয়াড়ই নয়, মানুষ হিসেবেও অ্যা়ঞ্জেলিক দারুণ। আমার খুব ভাল বন্ধু। তাই ওর জন্য খুব আনন্দ হচ্ছে।’’
অন্য দিকে, খেলোয়াড় জীবনের তৃতীয় গ্র্যান্ড স্ল্যাম এবং প্রথম উইম্বলডন জিতলেন অ্যাঞ্জেলিক কের্বার। দু’বছর আগে অল ইংল্যান্ড ক্লাবেই ফাইনালে সেরিনা-কের্বার মুখোমুখি হয়েছিলেন। কিন্তু সে বার সেরিনা হারিয়ে দিয়েছিলেন কের্বারকে। সেই বদলাই নিলেন জার্মান খেলোয়াড়। তবে বন্ধুকে হারানোর পরে তাঁর মুখ দেখে কিন্তু বদলা নেওয়ার কোনও অভিব্যক্তি বোঝা যায়নি। তিনি প্রথমেই সেরিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘তুমি দারুণ এক জন মানুষ। এক জন চ্যাম্পিয়ন। যে ভাবে তুমি কোর্টে ফিরে এসেছ, সেটা সবার কাছেই প্রেরণা। আমি নিশ্চিত তুমি খুব দ্রুত আবার গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিততে চলেছ।’’
জোকারের ফেডেরার-স্তুতি: রাফায়েল নাদালকে উইম্বলডনের সেমিফাইনালে হারিয়ে রজার ফেডেরারের প্রশংসায় ভাসলেন নোভাক জোকোভিচ। ম্যাচের মধ্যে বেশ কয়েক বার মেজাজ হারাতে দেখা যায় জোকারকে। পরে তিনি বলেন, ‘‘আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার দিক থেকে ফেডেরারের মতো কেউ হয় না।’’