গ্যাটলিন ফের হিটে এগিয়ে

দুশো মিটারের মহাযুদ্ধে নামার আগে চিন্তায় বোল্ট

একশো মিটার নয়, দুশো মিটার তাঁর প্রিয় ইভেন্ট। উসেইন বোল্টের পছন্দের কথা তাঁর ভক্তরা জানেন। কিন্তু বেজিংয়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সেই প্রিয় ইভেন্টেই নামার আগে কতটা চিন্তায় জামাইকান মহাতারকা সেটা হয়তো জানা ছিল না বোল্ট ভক্তদের। ক্লান্তি, ফিটনেস নিয়ে চিন্তার পাশাপাশি একশো মিটারের মতো এই রেসেও বোল্টের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন সেই জাস্টিন গ্যাটলিন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেজিং শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৫ ০৩:২০
Share:

দুশো মিটারের হিটে নামার আগে বোল্ট ও গ্যাটলিন। মঙ্গলবার বেজিংয়ে।

একশো মিটার নয়, দুশো মিটার তাঁর প্রিয় ইভেন্ট। উসেইন বোল্টের পছন্দের কথা তাঁর ভক্তরা জানেন। কিন্তু বেজিংয়ের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সেই প্রিয় ইভেন্টেই নামার আগে কতটা চিন্তায় জামাইকান মহাতারকা সেটা হয়তো জানা ছিল না বোল্ট ভক্তদের। ক্লান্তি, ফিটনেস নিয়ে চিন্তার পাশাপাশি একশো মিটারের মতো এই রেসেও বোল্টের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন সেই জাস্টিন গ্যাটলিন।
মঙ্গলবার বোল্ট, গ্যাটলিন সহজেই দুশো মিটারের সেমিফাইনালে উঠেছেন। তবে বোল্টের (২০.২৮) চেয়ে গ্যাটলিন (২০.১৯) হিটে এগিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের তারকা স্প্রিন্টার আবার এ মরসুমে দুশো মিটারে এখনও পর্যন্ত দ্রুততম (১৯.৫৭)। চোট-আঘাতে বিপর্যস্ত জামাইকান তারকা সেখানে এ মরসুমে এক বারই দুশো মিটারে নেমেছেন। তাও দু’মাস আগে নিউ ইয়র্কে। সেখানে বোল্ট শেষ করেছিলেন ২০.১৩ সেকেন্ডে। তবে সময় নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন বোল্টভক্তরা। তাঁদের সবচেয়ে বড় চিন্তা তাঁর ফিটনেস নিয়ে।
দিন দু’য়েক আগেই ১০০ মিটারে জামাইকান ‘বিদুৎ’ জিতলেও গ্যাটলিন তাঁর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতে ফেলতে রুপো জেতেন। যে রেসের পর বোল্ট প্রচণ্ড ক্লান্তির কথা স্বীকার করে নিয়েছিলেন। এ দিনও হিটের পর তিনি বলে দিয়েছেন, ‘‘দুশো মিটারে জেতাটা আমার কাছে ভীষণ দামি। তবে নিজের ফিটনেস নিয়ে কিছুটা চিন্তায় আছি। এ বছর তো খুব বেশি দুশো মিটারে নামিওনি।’’
এই পরিস্থিতিতে যে কেউই বৃহস্পতিবারের ফাইনালে গ্যাটলিনের উপর বাজি রাখবেন। যাঁর উপর দু’বার ডোপিং কেলেঙ্কারিতে জড়ানোর অভিযোগ থাকলেও ১০ বছর আগে হেলসিঙ্কি বিশ্ব মিটে তিনি সোনা জিতেছিলেন। কিন্তু বোল্টকে যাঁরা চেনেন তাঁরা জানেন জামাইকান মহাতারকার পক্ষে কিছুই অসম্ভব নয়। তা সে যতই চাপ থাকুক না কেন। বিশেষ করে এমন একটা স্টেডিয়ামে যেখানে তিনি সাত বছর আগে দুশো মিটারে বিশ্বরেকর্ড ভেঙে সোনা জিতেছিলেন (১৯.৩০)। ২০০৯ বার্লিন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেরই গড়া বিশ্বরেকর্ড ফের ভাঙেন বোল্ট ১৯.১৯ সেকেন্ডে। পাশাপাশি তাঁর বিখ্যাত আত্মবিশ্বাসের দাপট তো আছেই। এ দিনও যাঁর ঝলক শোনা গেল তাঁর গলায়, ‘‘আমার মনে হয় এই ইভেন্টে টেকনিক্যালি আমি অনেক ভাল দৌড়বাজ। ক্লান্ত, কিছুটা ব্যাথা-বেদনার সমস্যাও আছে ঠিকই তবে একটা আইস-বাথ নিলেই ও সব ঠিক হয়ে যাবে।’’

Advertisement

‘বার্ডস নেস্ট’ স্টেডিয়াম তাই আবার বিদুৎ ঝলকের অপেক্ষায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন