Subrata Paul

‘প্রতিবছর একজন করে ফুটবলারকে অর্জুন দেওয়া উচিত’

এত বছর ফুটবল জীবনে অনেক প্রশংসা পেয়েছেন। গোলের নিচে দেশের জার্সিতে একের পর এক অসাধারণ সব সেভ তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে অন্য উচ্চতায়। দেশের হয়ে যতটা সাফল্য পেয়েছেন ততটা পাননি ক্লাবের হয়ে। তবুও তিনি ভারতীয় ফুটবলের স্পাইডারম্যান।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৬ ২১:১০
Share:

এত বছর ফুটবল জীবনে অনেক প্রশংসা পেয়েছেন। গোলের নিচে দেশের জার্সিতে একের পর এক অসাধারণ সব সেভ তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে অন্য উচ্চতায়। দেশের হয়ে যতটা সাফল্য পেয়েছেন ততটা পাননি ক্লাবের হয়ে। তবুও তিনি ভারতীয় ফুটবলের স্পাইডারম্যান। টাইব্রেকারে প্রতিপক্ষের গোল আটকে দেশকে এনে দিয়েছেন চ্যাম্পিয়নের ট্রফি। দেশের সেরা সেই গোলকিপার সুব্রত পাল এ বার অর্জুন পুরস্কার পাচ্ছেন। দেশের জার্সিতে তো খেলছেনই। আইএসএল-এ এ বার খেলবেন নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের হয়ে। দেশের সেরা গোলকিপার অর্জুন হয়ে কী বলছেন সুব্রত?

Advertisement

এই পুরস্কার কাকে উৎসর্গ করবেন?

সুব্রত: আমি এই পুরস্কার পরিবারকে উৎসর্গ করলাম। আমার মা, বাবা, ভাই, বোন, স্ত্রী ও কোচকে উৎসর্গ করছি। আমার ফুটবলার হয়ে ওঠার পিছনে সবার অনেক ত্যাগ রয়েছে। আমার সব ভাল-মন্দে আমার পাশে দাঁড়িয়েছে। কখনও এই সমর্থন ভুলব না। ক্লাব ও দেশের আমি আমার সব কোচদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। সঙ্গে সতীর্থদেরও।

Advertisement

এই পুরস্কার তোমার কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

সুব্রত: এটা আমার কাছে অনেক বড় ব্যাপার। যদি এই পুরস্কার প্রাপকদের তালিকা দেখা যায় সেই ১৯৬১ থেকে তা হলে সেখানে যে নামগুলো দেখা যাবে তাঁদের দেখে এই পুরস্কার আমার জন্য গর্বের। আসল সত্যটা হল আমি হলাম ২৪তম ফুটবলার যে এই পুরস্কার পাচ্ছি। কোনও ক্রীড়াবিদ পুরস্কারের আশায় খেলতে নামে না। কিন্তু এই পুরস্কার আমার কাছে অনুপ্রেরণা।

এই পুরস্কার ব্যাক্তি সুব্রত পালের মধ্যে কী পরিবর্তন আনবে?

সুব্রত: আমি ব্যাক্তি জীবনে যেমন ছিলাম তেমনই থাকব। কিন্তু আমি আশা করি এটা পরবর্তি প্রজন্মকে ফুটবলে এগিয়ে আসতে সাহায্য করবে। যদি ছোটরা খেলায় যুক্ত থাকে তা হলে ভারতীয় ফুটবলের সাপ্লাই লাইন বাড়বে। আর আমার মনে হয় ফুটবলাররা তাঁদের কাজের জন্য প্রতিবছর যাতে অর্জুন পুরস্কার পান।

তোমার এতদিনের ফুটবল জীবনকে কী ভাবে ব্যাখ্যা করবে?

সুব্রত: আমি বর্তমানে বিশ্বাস করি। পেছন ফিরে তাকাই না। ভবিষ্যত নিয়েও ভাবি না। এই মুহূর্তে আমার সব ফোকাস পূর্তো রিকোর বিরুদ্ধে ভারতের ম্যাচ ঘিরে। লক্ষ্য ম্যাচটা জিতে ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশকে তুলে আনা। এই ম্যাচ আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। মুম্বইতে হবে এই খেলা। আমি শুনেছিল ১৯৫৫র পর এই প্রথম মুম্বইয়ে কোনও অফিশিয়াল আন্তর্জাতিক ম্যাচ হবে। এটা বড় ব্যাপার।

তোমার ফুটবল জীবনের সব থেকে বড় প্রাপ্তি কী?

সুব্রত: আমি মনে করি আমার বর্তমানই আমার ফুটবল জীবনের সেরা সময়। আমি বাঁচতে চাই ফুটবল নিয়ে, ফুটবলটাকে উপভোগ করতে চাই। আমি স্বামী বিবেকানন্দের দর্শনে বিশ্বাসী। যে দিন আমি ফুটবল থেকে অবসর নেব সেদিন আমি আমার এই দীর্ঘ ফুটবল জীবন নিয়ে ভাবব।

সাক্ষাৎকার: এআইএফএফ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন