লাল-হলুদ শিবিরে থাকছেন না অলরাউন্ডার অর্ণব নন্দী। —ফাইল চিত্র।
গত ক্রিকেট মরসুমে একটিও ট্রফি জিততে পারেনি তারা। অথচ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগান জিতে নিয়েছে তিনটি ট্রফি। এই ধাক্কাতেই এ বার দলের খোলনলচে বদলে ফেলতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল।
গত মরসুমের দলের সাত ক্রিকেটারকে ছেড়ে দিচ্ছে লাল-হলুদ শিবির। এগারো বছর তাদের সঙ্গে থাকার পরে এ বছর ক্লাব ছাড়ছেন অলরাউন্ডার অর্ণব নন্দী। এ ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছেন ওপেনার বিবেক সিংহ, ব্যাটসম্যান বিদ্যুৎ অধিকারী ও শুভজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বাঁ হাতি স্পিনার অরিত্র চট্টোপাধ্যায়, বাঁ হাতি পেসার সৌরভ মণ্ডল ও ব্যাটসম্যান কাজি জুনেইদ সইফিও।
২০১৬-১৭ মরসুমে অর্ণবদের নিয়েই চারটি ট্রফি জিতেছিল ক্লাব। অথচ এক বছর দল ট্রফি না পেতেই কি তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? ইস্টবেঙ্গল ছেড়ে যাওয়া ক্রিকেটারদের অনেকে জানিয়েছেন যে, মরসুমের শেষ দিকে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, কম বাজেটের দল গড়বে ক্লাব। তাই চাহিদা অনুযায়ী পারিশ্রমিক নাও পেতে পারেন। এই খবর পাওয়ার পরেই ময়দানের অন্য ক্লাবগুলো তাঁদের পেতে আগ্রহী হয়।
বিবেক ও সৌরভের সঙ্গে মোহনবাগানের কথা পাকা হয়ে গিয়েছে। ভবানীপুরে যাচ্ছেন অর্ণব। টাউনে খেলবেন বিদ্যুৎ, শুভজিৎরা। শ্যামব্যাজারে জুনেইদ। অর্ণবকে যেমন ভবানীপুর নিতে চলেছে, তেমনই তাদের গত বারের অধিনায়ক ঋতম পোড়েলকে নিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল। ঋতমের সঙ্গে বাঁ হাতি পেসার গীত পুরিও সই করছেন লাল-হলুদ শিবিরে। বড়িশা স্পোর্টিং-এর ব্যাটসম্যান পঙ্কজ শ, শ্যামবাজারের স্পিনার প্রদীপ্ত প্রামাণিকদের সঙ্গেও কথা পাকা করে ফেলেছেন লাল-হলুদ কর্তারা।
ইস্টবেঙ্গল ক্রিকেট সচিব সদানন্দ মখোপাধ্যায়ের মতে, শুধু বাজেট নয়, পারফরম্যান্স দেখেও এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, ‘‘পুরনো স্পনসর চলে যাওয়ায় পরের মরসুমে বাজেট নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল। যাঁরা ভাল পারফর্ম করেছে তাঁদের আমরা রেখে দিয়েছি।’’
তা হলে ইস্টবেঙ্গলে গত বছরের অন্যতম সেরা বোলার সৌরভ মন্ডল, যিনি ২১টি ম্যাচে ৫০টি উইকেট নিয়েছিলেন, তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হল কেন? এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর অবশ্য দিতে পারেননি ক্রিকেট সচিব। যদিও তাতে ক্ষুব্ধ নন সৌরভ।