বাংলা যে বার ৫১ বছর পরে শেষ রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, সেই ১৯৮৯-৯০ মরসুমে তিনি ৯৮-এরও বেশি গড় নিয়ে ১০৮৪ রান করেছিলেন। তৎকালীন বোম্বাইকে কোয়ার্টার ফাইনালে হারাতে তাঁর ১৮৯ রানের ইনিংসই সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল বাংলার। ফাইনালে তাঁর হাফ সেঞ্চুরি ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সেই অরুণ লালকে এ বার মেন্টর করে এনে বঙ্গ ক্রিকেটের ভোল বদলের ভাবনা শুরু হল রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা সিএবি-তে।
গতবারের রানার্স বাংলা এ বারের বিজয় হজারে ট্রফিতে নক আউট পর্বেই উঠতে না পারায় সিএবি প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্ত নিলেন মঙ্গলবার। এ দিন সন্ধ্যায় তিনি আনন্দবাজার-কে জানান, ‘‘এ বার থেকে বাংলার সিনিয়র দলের পুরো দায়িত্ব নেবেন অরুণ লাল। এই অবস্থায় উনিই দলের হাল ধরতে পারবেন বলে আমার বিশ্বাস। উনি যথেষ্ট অভিজ্ঞ। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও। আধুনিক ক্রিকেট নিয়েও যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। সেই জন্যই ওঁর কথাই ভেবেছি।’’
কয়েকদিন ধরে আলোচনা হলেও অরুণ লাল এ দিন সকালেই সুদূর ইটালিতে বসে জানতে পারেন, তাঁকে এই নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে। সেখান থেকে তিনি এ দিন ফোনে আনন্দবাজার-কে বলেন, ‘‘আমাকে আজ সকালেই সৌরভ ফোন করেছিল। বলল যে, আমাকে বাংলা দলের পুরো দায়িত্ব নিতে হবে এ বার। আমি না করিনি। কারণ, এটা আমার কাছে যথেষ্ট সম্মানের।
বড় চ্যালেঞ্জও।’’
এর আগেও একাধিকবার বাংলার ক্রিকেটারদের অরুণ লাল উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন। এ বার তাঁকে আরও বড় দায়িত্ব দিলেন সৌরভ। তবে কী ভাবে তিনি তাঁর কাজ করবেন, সে পরিকল্পনা এখনও করেননি বলে জানালেন অরুণ লাল। বলেন, ‘‘আমি ২৬ তারিখ কলকাতায় ফিরছি, তার পরের দিন থেকে দলের সঙ্গে যোগ দেব। আগে যোগ দিই। সবার সঙ্গে কথা বলি। তার পরে ঠিক করব কী
ভাবে এগোব।’’
রঞ্জি ট্রফিতে ঘরের ও বাইরের ম্যাচেও দলের সঙ্গে অরুণ লাল থাকবেন বলে এ দিন জানিয়েছেন সৌরভ। তবে তিনি এই ব্যাপারে বলেন, ‘‘আমি এখনও ঠিক করিনি। কলকাতায় ফিরে ঠিক করব।’’ বাংলার এই দুঃসময়ে দলের হাল ধরা নিয়ে রঞ্জি ট্রফিতে ৬৭৬০ রানের মালিক বলেন, ‘‘যে কোনও দলের খারাপ সময় আসতে পারে। সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগোলে সেই দুঃসময় কাটানোও যায়। আমিও সেই চেষ্টাই করব। আশা করি, দলের ক্রিকেটাররা আমার সঙ্গে
সহযোগিতা করবে।’’