অশ্বিন
ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ চার টেস্টের সিরিজের প্রথম ম্যাচ আয়োজনের জন্য পুরোপুরি তৈরি অ্যান্টিগা। অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি অ্যান্টিগার উইকেট সাধারণত বেশ পাটা হয়। যা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের পছন্দের সারফেস। উইকেট নিয়ে তাই আমার যথেষ্ট আগ্রহ। দেখতে চাই, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা বিরাট কোহালিদের ওদের পছন্দের সারফেস দেবে, নাকি ভারতীয় ব্যাটিংকে অভ্যর্থনা জানাতে উইকেটে কিছুটা ঘাস রাখা হবে। যেটাই করা হোক, বাইশ গজই কিন্তু ঠিক করে দেবে প্রথম একাদশে কারা থাকছে। আমার ধারণা, সকালে বাইশ গজের চেহারাটা দেখে নেওয়ার পরই দু’পক্ষ টিম কম্বিনেশন চূড়ান্ত করবে।
এই সিরিজে আমাদের বোলিংটা ঠিকঠাক হলে ভারতকে রোখা কিন্তু কঠিন হবে। আমাদের স্পিন বিভাগের পারফরম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। আমি নিশ্চিত, অনিল কুম্বলের পরামর্শে অশ্বিন বিদেশের মাঠে ঠিক লাইনে বলটা করবে। যা একজন স্পিনারের সফল হওয়ার জন্য খুব জরুরি। অনিল পাশে থাকায় অমিত মিশ্রও দলের অন্যতম অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে। প্রস্তুতি ম্যাচগুলোতেই সেটা আমরা দেখেছি। অসাধারণ বল করেছে অমিত।
ভারতীয় টিমকে দেখে মনে হচ্ছে ক্যারিবিয়ান চ্যালেঞ্জের জন্য ওরা পুরোপুরি তৈরি। এর আগে ২০০৬ আর ২০১১-র ক্যারিবিয়ান সফরে ভারতের পারফরম্যান্স খুব ভাল ছিল। এ বার অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওদের পুরো শক্তির টিম খেলাচ্ছে না। তা সত্ত্বেও আমার মন বলছে সাম্প্রতিক অতীতে ওদের হারানো যতটা সহজ হয়েছিল, এ বার ততটা হবে না। এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ টিমটা অনেক বেশি লড়াকু, এরা কিন্তু ভালই টক্কর দেবে। এমনিতে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানরা অসাধারণ ইউনিট। কিন্তু সেই পারফরম্যান্সের ধারটা ওরা এই সিরিজে টেস্ট ক্রিকেটেও আমদানি করতে পারে কি না, সেটাই দেখার। টিম ইন্ডিয়ার পারফরম্যান্স অনেকটাই নির্ভর করবে ব্যাটিং কেমন হয় তার উপর। বিশেষ করে প্রথম ইনিংসে বোর্ডে বড় রান তুলতে পারার উপর কিন্তু অনেক কিছু নির্ভর করছে। আমার মতে, ওটাই হবে ভারতের সাফল্যের আসল চাবিকাঠি। অন্য একটা সিরিজের কথা বলতেই হচ্ছে। পাকিস্তান প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ডকে হারানোয় আমি ভীষণ খুশি। পাকিস্তানের এই পারফরম্যান্স টেস্ট ক্রিকেটের স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ ভাল সঙ্কেত। আর হ্যাঁ, লর্ডসে পাকিস্তান টিমের বিজয়োৎসব দেখে আমি অভিভূত!