ব্যাট হাতে কামাল অশ্বিনের।
২৬ তম ওভারে তিনি যখন ব্যাট করতে নামলেন, ভারত তখন ৮৭ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকছে। আর দিনের শেষে দলকে খাদের ধার থেকে সরিয়ে তিনি যখন প্যাভিলিয়নে ফিরছেন, তখন তাঁর নামের পাশে অপরাজিত ৭৫। আর ভারত ২৩৪/৫। প্রথম টেস্টের মতো মঙ্গলবার বিকেলের গ্রস আইলেট ফের এক বার পেল ব্যাট হাতে ত্রাতা রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে।
মঙ্গলবার গ্রস আইলেটে তৃতীয় টেস্টের শুরুতেই যে ধাক্কাটা খেল ভারত, তা যে খুব একটা অপ্রত্যাশিত ছিল, তা কিন্তু নয়। উইকেট বেশ জীবন্ত, বোঝা যাচ্ছিল শুরুতে পেসাররা ভাল সাহায্য পাবে, আর ভারত কি না চেতেশ্বর পূজারার মতো টেস্ট স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যানকে বসিয়ে দিল। মনে রাখতে হবে, মুরলী বিজয়কে এই টেস্টেও পায়নি বিরাট কোহালি। তা সত্ত্বেও এই সিদ্ধান্তটা সত্যি অবাক করার মতো। দলে হঠাৎ করে পরিবর্তন আর বিরাটের ব্যাটিং অর্ডারে বদল— এই দুটো ঘটনাই ভারতীয় দলের ব্যালান্সটা নষ্ট করে দিল। যার নিট ফল লাঞ্চের এক ঘণ্টা পরেই পাঁচ উইকেট হারায় ভারত।
চা বিরতিতে ভারত ছিল ১৩০/৫। প্রথম দুই সেশন ক্যারিবিয়ানদের হলেও দিনের শেষ সেশনটা একেবারেই ভারতীয়দের। বা বলা ভাল অশ্বিন এবং ঋদ্ধির। ওয়েস্ট ইন্ডিয়ানদের দেখলেই অশ্বিন যেন রণমূর্তি ধারণ করেন। এমনকী ভারতীয়দের মধ্যে টেস্টে ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি গড়ও তাঁরই। তাঁর ৬৬.৫৭ এর গড় সুনীল গাওস্করের ৬৫.৪৫-এর থেকেও বেশি। তৃতীয় ভারতীয় হিসাবে একটি টেস্ট সিরিজে দু’বার ৫০ রানের গণ্ডি পেরনোর পাশাপাশি দু’বার ৫ উইকেটও নিয়েছেন তিনি। এর আগে কপিল দেব এবং ভুবনেশ্বর কুমার এই নজির গড়েছিলেন।
তবে একা অশ্বিনের কথা বললে অন্যায় হবে। অশ্বিনের পাশে সাবলীল ছিলেন ঋদ্ধিমানও। তামিলনাড়ুর অলরাউন্ডার (এ দিনের পারফরম্যান্সের পর আর শুধু অফ স্পিনার বলা যাচ্ছে না)-এর ৭৫ এর পাশে দিনের শেষে বাংলার উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের ৪৬ রানের অপরাজিত ইনিংসও কম কৃতিত্বের দাবি রাখে না। দু’জনে মিলে ইতিমধ্যেই ষষ্ঠ উইকেটে ১০৮ রানের অবিচ্ছেদ্য পার্টনারশিপ গড়ে ফেলেছেন।
আরও পড়ুন:
টেস্টে সব দেশের বিরুদ্ধে শতরান করেছেন যে সব ক্রিকেটাররা