জাকার্তা এশিয়ান গেমসের অ্যাথলেটিক্সে ভারতকে সোনা দিলেন আরপিন্দর সিংহ। পুরুষদের ট্রিপল জাম্পে জীবনের সেরা লাফ দিয়ে। আরপিন্দর লাফিয়েছেন ১৬.৭৭ মিটার।
বুধবার আরপিন্দরের প্রথম লাফটা কিন্তু ফাউল হয়ে যায়। তা সত্ত্বেও তিনি দ্বিতীয় চেষ্টায় লাফান ১৬.৫৮ মিটার। তার পর ১৬.৭৭ মিটার। তবে চতুর্থ লাফটি ছিল ১৬.০৮ মিটার। পঞ্জাবের এই অ্যাথলিট এ বার কমনওয়েলথ গেমসে কিন্তু চতুর্থ হয়েছিলেন। গোল্ড কোস্টে পদক হারানোর সেই দুঃখ তিনি সুদেমূলে উশুল করলেন জাকার্তায়। এখানে যোগ্যতা অর্জন পর্বেও বেশ ভাল লাফিয়েছেন। গ্রুপ বি-তে তিনি শীর্ষস্থানেও ছিলেন। সেখানে তাঁর সেরা লাফটি ছিল ১৬.৩৯ মিটার। প্রসঙ্গত আরপিন্দর গ্লাসগোয় ২০১৪ সালের কমনওয়েলথ গেমসে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন। এই ইভেন্টে জাতীয় রেকর্ডও তাঁরই দখলে। এমনিতে আরপিন্দরের সেরা লাফ কিন্তু অনেক বেশি। ১৭.১৭ মিটার। প্রসঙ্গত ট্রিপল জাম্পে ভারত শেষ সোনা জিতেছিল ১৯৭০ সালে। জিতেছিলেন মহিন্দর সিংহ গিল।
বুধবার ভারতের মুখ উজ্জ্বল করেছেন দ্যুতি চন্দও। মেয়েদের ১০০ মিটারে তিনি রুপো জিতলেন ২৩.২০ সেকেন্ড সময় করে। সেমিফাইনালে কিন্তু ওড়িশার এই মেয়ে তাঁর জীবনের সেরা ২৩.০০ সেকেন্ড সময় করেছিলেন। আর চূড়ান্ত দৌড়ে সোনাজয়ী বাহরিনের এদিদং ওদিদং সোনা জিতলেন ২২.৯৬ সেকেন্ড সময় করে। ভারতীয় অ্যাথলিটদের মধ্যে একই এশিয়ান গেমসে একাধিক পদক খুব বেশি অ্যাথলিট জেতেননি। ছিয়াশির সোল এশিয়াডে পিটি ঊষা চারটি সোনা জেতেন। ২০০ মিটার, ৪০০ মিটার, ৪০০ মিটার হার্ডলস ও ৪x৪০০ মিটার রিলেতে। জ্যোতির্ময়ী শিকদার ১৯৯৮ সালের ব্যাঙ্কক এশিয়ান গেমসে দু’টি পদক জেতেন। ২০০২ বুসান এশিয়াডে সুনীতা রানি দেড় হাজার ও পাঁচ হাজার মিটারে পদক জেতেন। দ্যুতির কৃতিত্বও কিন্তু কম নয়। এখানে তিনি ২০০ ও ৪০০ মিটারে রুপো জিতলেন। অথচ চার বছর আগে তাঁর শরীরে পুরুষ হর্মোনের আধিক্য থাকায় তাঁকে নিবার্সিত করেছিল জাতীয় অ্যাথলেটিক্স সংস্থা। যার বিরুদ্ধে আবেদন করে তিনি বিজয়ী হয়ে সসম্মানে কোর্টে ফেরেন। এবং মোক্ষম জবাবটি দিলেন জাকার্তায়।
এ দিনের আর একটি বড় চমক শরৎ কমল ও মানিকা বাতরার টেবল টেনিসে মিক্সড ডাবলসে ব্রোঞ্জ জেতা। টেবল টেনিসের এই বিভাগে প্রথম কোনও পদক জিতল ভারত। সেমিফাইনালে অবশ্য এই ভারতীয় জুটি চিনের চুগিন ওয়াং-ইংশা সুনের কাছে ৯-১১, ৫-১১, ১৩-১১, ৪-১১, ৮-১১ হেরে যান।