পরীক্ষা: ট্রায়াল চলছে বৈদ্যবাটির বি এস পার্কে। ছবি: প্রকাশ পাল
কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে বল পেটাচ্ছিল এক মাঠ ছেলে। দলপিছু এক জন তীক্ষ্ণ নজর রাখছিলেন। মাঠের বাইরে থেকেও চলছিল কয়েক জোড়া চোখের নজরদারি। খুদে ছেলেগুলোর নড়াচড়া, বল ধরা, পাস বাড়ানো, শরীরের ভারসাম্য— ধরা পড়ছিল সব কিছুই।
ফুটবল প্রতিভার খোঁজে সোমবার হুগলির বৈদ্যবাটির বিএস পার্ক ক্লাবের মাঠে খুদেদের ট্রায়াল নিল এটিকে। এই প্রথম নয়, টানা তিন বছর এই মাঠে ট্রায়াল নিল তারা। এটিকে কর্তারা জানান, গত দু’বছরে এখান থেকে বেশ কয়েক জনকে বাছাই করা হয়েছিল। তারা এটিকে এবং রিলায়েন্সের ক্যাম্পের আবাসিক শিক্ষার্থী। এ দিন ২৭০ জনেরও বেশি ছেলে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ট্রায়াল দিল। ২০০৫ সালের পরে যাদের জন্ম, তারাই ট্রায়াল দেওয়ার সুযোগ পায়। বিএস পার্কের কর্মকর্তা সৌমেন ঘোষ, শ্রীরামপুর মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক তরুণ মিত্র, বৈদ্যবাটি পুরসভার কাউন্সিলর প্রবীর পাল মাঠে উপস্থিত ছিলেন। এটিকে কর্তা আশিস সরকার জানান, এই জেলার আরামবাগ এবং চুঁচুড়াতেও ট্রায়াল নেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালে বিএস পার্ক মাঠে ট্রায়াল থেকে সৌভিক চট্টোপাধ্যায়, অঙ্কুশ পালেরা এটিকে-র শিবিরে সুযোগ পেয়েছিল। এ দিন বাবা-মায়েদের সঙ্গে তারাও এসেছিল বিএস পার্ক মাঠে। শ্রীরামপুরের চাতরার সৌভিক, সিঙ্গুরের বুড়াশান্তির অঙ্কুশ দু’জনেই এখন এটিকে-র আবাসিক শিক্ষার্থী। সৌভিক অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। অঙ্কুশ নবম শ্রেণির ছাত্র। সৌভিকের বাবা অরূপ চট্টোপাধ্যায় হিন্দমোটরে রেলের ওয়াগন তৈরির একটি বেসরকারি কারখানায় অ্যাম্বুল্যান্স চালান। তিনি জানান, এটিকে-র শিবিরে খেলাধুলো থেকে পড়াশোনা সবই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে হয়। ফিজিও নজর রাখেন সব সময়। ছেলেকে ওই শিবিরে পাঠিয়ে তাঁর দু’চোখে স্বপ্ন। তাঁর কথায়, ‘‘এই ধরনের সংস্থা ফুটবলার গড়লে বাংলা থেকে অনেক ছেলে উঠে আসবে।’’