(সামনে) শি জিনপিং এবং (পিছনে বাঁ দিকে ) শাহবাজ় শরিফ ও মুহাম্মদ ইউনূস (পিছনে ডান দিকে) গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিচ্ছে চিন এবংপাকিস্তানের প্রভাব! একাত্তরের পর ভারতের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে প্রতিবেশী রাষ্ট্রটিতে। আজ বিদেশ মন্ত্রকের সংসদীয় কমিটির পেশ করা রিপোর্টে উঠে এল এই আশঙ্কার কথা।
সংসদীয় এই কমিটির চেয়ারম্যান প্রাক্তন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী শশী তারুর। রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ঢাকারসাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতা নয়াদিল্লির বড় রকমের মাথাব্যথার কারণ হতে পারে। কমিটির মতে, পরিস্থিতি হয়তো সরাসরি বিশৃঙ্খলা বা নৈরাজ্যের দিকে যাচ্ছে না, কিন্তু এখনই যদি ভারত কৌশলগত পুনর্মূল্যায়ন না করে, তা হলে ঢাকায় ভারতের গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা ধীরে ধীরে কমার আশঙ্কা রয়েছে।
ওই রিপোর্টে বাংলাদেশের অস্থিরতার কারণ ব্যাখ্যা করে বলা হচ্ছে, ইসলামি মৌলবাদী শক্তির উত্থান, চিন ও পাকিস্তানের প্রভাব বৃদ্ধি এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রভাবক্ষয়ের সম্মিলিত ফলাফলেএই পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানেরসম্পর্ক পুনর্গঠন এবং চিনের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে। পরিকাঠামো উন্নয়ন, বন্দর সম্প্রসারণ ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্রে চিনের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে বলে রিপোর্টের দাবি। মংলা বন্দরের সম্প্রসারণ, লালমনিরহাট বিমানঘাঁটি এবং পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটির মতো প্রকল্পের উল্লেখ করে কমিটি জানিয়েছে, বাংলাদেশের হাতে মাত্র দু’টি সাবমেরিন থাকলেও সেখানে আটটি সাবমেরিন রাখার মতো পরিকাঠামো তৈরি করা হচ্ছে। চিন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক গোষ্ঠীর সঙ্গেওযোগাযোগ বাড়াচ্ছে।
কমিটির সুপারিশ, বাংলাদেশে কোনও বিদেশি শক্তি যেন সামরিক ঘাঁটি তৈরি করতে না পারে, সে বিষয়ে ভারত সরকারকে কড়া নজরদারি চালাতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বন্দর ব্যবহারের ক্ষেত্রে ঢাকাকে তুলনামূলক সুবিধা দিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করার পথ খুঁজতে হবে।
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে