এ বার অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের হয়ে ব্যাট করতে মাঠে নেমে পড়ল সেই দেশের মিডিয়া। বেঙ্গালুরু টেস্টের শেষ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে ডিআরএস নিয়ে মুখ খুলেছিলেন বিরাট কোহালি। অভিযোগ এনেছিলেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের বিরুদ্ধ। ডিআরএস নেওয়ার আগে তিনি নাকি ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে কিছু জানতে চেয়েছিলেন। এই ম্যাচেই আরও দু’বার একই ঘটনা হওয়ার কথাও বলেন বিরাট। প্রতিবাদ করেন তিনি। জানান আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারিকেও। শেষ দিন তার পর স্টিভকে ডিআরএস নিতে দেননি স্বয়ং আম্পায়ার। সাংবাদিক সম্মেলনে পুরো ঘটনার কথা সামনে নিয়ে আসেন বিরাট। যেটা মেনে নিতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া শিবির। সঙ্গে সঙ্গেই স্মিথের পাশে দাঁড়ায় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। বিরাট কোহালির পাশে দাঁড়ায় বিসিসিআই। কিন্তু আইসিসির তরফে এই বিষয়ে কোনও ভূমিকাই নিতে দেখা যায়নি। বরং এই ঘটনাকে হালকা করতে পরবর্তি ম্যাচের জন্য দুই দলকেই মনোনিবেশ করার উপদেশ দিয়েই কাজ সারে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। তার পর স্মিথ ও হ্যান্ডসকম্বের বিরুদ্ধে পাল্টা লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু সেই অভিযোগ আবার তুলেও নেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আলোচনার পর। কিন্তু থেমে থাকেনি সেই দেশের মিডিয়া। শুক্রবার পাল্টা অভিযোগ তোলে তাঁরা। সরাসরি কোচ ও অধিনায়কের বিরুদ্ধে।
আরও খবর: পুণে পিচ নিয়ে আইসিসিকে জবাব দিল বিসিসিআই
অস্ট্রেলিয়ার এক সংবাদপত্রে শুক্রবার লেখা হয়েছে, ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহালি ও কোচ অনিল কুম্বলে নাকি দ্বিতীয় টেস্টের সময় বেঙ্গালুরুতে মাঠঠেই দূর্ব্যবহার করেছেন। সেখানে এও বলা হয়ে কোহালি নাকি অস্ট্রেলিয়ার এক অফিশিয়ালের দিকে পানীয়ের বোতল ছুড়ে মারেন। এর সঙ্গে কুম্বলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বেঙ্গালুরু ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসে বিরাট কোহালি আউট হওয়ার পর তিনি নাকি ম্যাচ অফিশিয়াল বক্সে গিয়ে বিতর্ক জুড়ে দেন আউট নিয়ে। সেই সংবাদপত্র এই সুযোগে হরভজন সিংহ ও অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের সেই মাঙ্কি গেটস প্রসঙ্গও টেনে আনেন। যার পিছনে কুম্বলের ভূমিকা ছিল বলে দাবি করে সেই সংবাদপত্র। বর্তমান ভারত কোচই নাকি উসকে দিয়েছিল এই ঘটনাকে। সব ঘটনার পিছনেই কুম্বলের নাকি উসকানি ছিল এ বারও। শুধু অস্ট্রেলিয়ার সংবাদ মাধ্যম নয়, শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক অর্জুন রনতুঙ্গাও বিরাট কোহালিকে একহাত নিয়েছেন তিনি। আউট হয়ে ফেরার সময় বিরাটের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ খেলার স্পিরিটকে নষ্ট করেছে।