অ্যাসেজ জয়ের উচ্ছ্বাস অস্ট্রেলিয়ার। ছবি: রয়টার্স।
তৃতীয় টেস্ট জিতে অ্যাসেজের দখল নিল অস্ট্রেলিয়া। পার্থে এই টেস্ট ম্যাচ নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। গড়াপেটা বিতর্কে উসকেই শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড তৃতীয় টেস্ট। কিন্তু সব বিতর্ককে ছাপিয়ে দু’ম্যাচ বাকি থাকতেই ৩-০তে সিরিজে এগিয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। সঙ্গে সিরিজও পুনরুদ্ধার করে নিল অস্ট্রেলিয়া। পরের দুটো টেস্ট জিতলেও ইংল্যান্ডের সিরিজ জয় সম্ভব না।
সোমবার ম্যাচের শেষ দিন ইনিংস ও ৪১ রানে ম্যাচ জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া। এই ম্যাচে নজির রেখে গেলেন মিচেল স্টার্কের শতাব্দীর সেরা বল আর স্টিভ স্মিথের ডবল সেঞ্চুরি। সঙ্গে হ্যাজেলউডের দুরন্ত বোলিং। প্রথম ইনিংসে হ্যাজেলউড নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর শিকার ৫।
এই টেস্টে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করে ৪০৩ রানেই ধসে পড়ে ব্রিটিশ সাম্রাজ্য। জোড়া সেঞ্চুরি সত্বেও বড় রানের টার্গেট রাখতে ব্যর্থ ইংল্যান্ড। স্টোনম্যানের ৫৬ ছাড়া মালানের ১৪০ ও বেয়ারস্টোর ১১৯ রানের দৌলতেই ৪০০ রানের গণ্ডি পেড়তে পেরেছিল ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে স্টার্ক ৪টি ও হ্যাজেলউড ৩টি উইকেট নেন। জোড়া উইকেট কামিন্সের।
আরও পড়ুন
শতাব্দীর সেরা বল করলেন স্টার্ক!
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়ার জন্য এক ইনিংসই যথেষ্ট ছিল। সেখানে স্টিভ স্মিথের ২৩৯ আর মার্শের ১৮১ রানের দুরন্ত ইনিংসই যথেষ্ট ছিল বিরাট রানের লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য। তার আগে খোয়াজার ৫০ ও পাইনের অপরাজিত ৪৯ রানের দৌলতে ৬৬২/৯ এ ইনিংস ঘোষণা করে দেয় অজিরা। ইংল্যান্ডের হয়ে ৪টি উইকেট নেন অ্যান্ডরসন। জোড়া উইকেট ওভার্টনের। একটি করে উইকেট ওকস ও মইন আলির।
বিশাল রানের লক্ষ্য মাথায় নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে ইংল্যান্ড। কিন্তু লক্ষ্যের কাছে পৌঁছতে পারেনি। ২১৮ রানেই শেষ হয়ে যায় ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস। ইংল্যান্ডের হয়ে ব্যাক্তিগত সর্বোচ্চ রান ৫৫ আসে ভিনসের ব্যাট থেকে। ৫৪ রান করেন মালান। দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে একাই বাজিমাত করেন হ্যাজেলউড। ১৮ ওভারে ৬টি মেডেনসহ ৪৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন তিনি। ম্যাচের সেরা হয়েছেন স্টিভ স্মিথ।