তোপ: অবসর নিয়েও হুঙ্কার ছেড়ে যাচ্ছেন জনসন। ফাইল চিত্র
তাঁদের কারও অস্ট্রেলিয়ার প্রথম এগারোয় থাকার কোনও সম্ভাবনা নেই। কিন্তু ধর্মশালা টেস্ট শুরু হওয়ার আগে নিজের দেশে বসে বিরাট কোহালিদের উদ্দেশে একটার পর একটা বাউন্সার দিতে শুরু করলেন অস্ট্রেলিয়ার তিন আগুনে ফাস্ট বোলার— জিওফ লসন, মিচেল জনসন এবং মিচেল স্টার্ক। কারও আক্রমণের লক্ষ্য সরাসরি কোহালি হলে কারও আক্রমণের মুখে পুরো ভারতীয় দল।
অস্ট্রেলিয়ার এক টিভি চ্যানেলে ভারত অধিনায়ককে বিদ্রুপ করে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন পেসার লসন বলেছেন, ‘‘বিরাটকে একটা ব্যাপারে কৃতিত্ব দিতেই হবে। ও খুব ধারাবাহিক। এক জন অধিনায়ক হিসেবে আপনার কিছু বাড়তি দায়িত্ব থাকে। সেটা আপনাকে মাঠে দেখাতে হয়। বিরাটের কাছ থেকে আমরা যে রকম আচরণ দেখছি, সেটা সাধারণত দলের সবচেয়ে খারাপ ছেলের কাছ থেকে পাওয়া যায়।’’
চলতি সিরিজের উদাহরণ টেনে লসন বলেছেন, ‘‘এক জন ব্যাটসম্যান আউট হয়ে ফেরার সময় তাকে কিছু বলা মানে ক্রিকেটীয় স্পিরিটের অবমাননা করা। বিরাট ঠিক সেটাই করছে। আর ক্যামেরায় সেটা ধরাও পড়েছে। তা ছাড়া ওর ভাষাটাও খুব খারাপ। আমি এটা ভেবে অবাক হয়ে যাচ্ছি যে কেন এখনও বিরাটের বিরুদ্ধে সরকারি অভিযোগ জমা পড়ছে না।’’
আরও পড়ুন: আইসিসি-র ইঙ্গিত, শান্তি রক্ষার দায় দুই ক্যাপ্টেনের
লসন যেখানে কোহালিকে ব্যক্তিগত ভাবে আক্রমণ করেছেন, সেখানে দুই মিচেলের লক্ষ্য ভারতীয় টিম। স্টার্ক কোনও রাখঢাক না করেই বলে দিচ্ছেন, ‘‘ভারত আমাদের ভয় পাচ্ছে। আর সে জন্যই ওরা স্লেজ করার রাস্তা নিয়েছে।’’ সিরিজ ১-১ অবস্থায় লড়াই এখন ধর্মশালায়। চোটের জন্য দেশে ফিরে গেলেও স্টার্ক সেখান থেকেই হুঙ্কার দিয়ে চলেছেন, ‘‘আমরা এই সিরিজটা জিততে পারি। আমরা দেখিয়ে দিয়েছি লড়াই কাকে বলে। আমরা প্রয়োজনে আক্রমণ করতে পারি এবং করবও।’’
স্টার্কের প্রাক্তন সতীর্থ মিচেল জনসন মনে করছেন, ধর্মশালায় শেষ টেস্ট হওয়াটা অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে যেতে পারে। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারত এই সিরিজটায় খেলতে নামার আগে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে পড়েছিল। যেটা সিরিজের ফলে বোঝা যাচ্ছে। ওরা কিন্তু ধর্মশালায় নামার সময় নার্ভাস থাকবে।’’ ধর্মশালার পিচে খেলার অভিজ্ঞতা থেকে জনসন বলছেন, ‘‘আমি ধর্মশালার পিচ যত বার দেখেছি, সব সময় ঘাস ছিল। এখানে পেসাররা সাহায্য পায়। তাই আমার মনে হয়, অস্ট্রেলিয়া শেষ টেস্টে নামার আগে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী থাকবে।’’
স্টিভ স্মিথের জন্য একটা পরামর্শও আছে জনসনের। ‘‘আমার মনে হয় শেষ টেস্টে এক জন স্পিনার কমিয়ে পেসার খেলাক অস্ট্রেলিয়া। স্পিনাররা এই সিরিজে দুর্দান্ত বল করেছে ঠিকই। কিন্তু ধর্মশালার উইকেটে এক জন বাড়তি পেসার দরকার।’’ সেই পেসারটা কে হতে পারে, সেটাও বলে দিচ্ছেন জনসন। ‘‘জ্যাকসন বার্ডকে অবশ্যই খেলানো উচিত স্টিভ ও’কিফের জায়গায়। আমি জানি, ও’কিফ এই সিরিজে দুর্দান্ত বল করেছে। কিন্তু উইকেটের চরিত্র আর পরিবেশের কথা মাথায় রাখলে অবশ্যই বার্ডের দলে আসা উচিত।’’
তিন ফাস্ট বোলারের এই ‘বাউন্সারের’ জবাব কোহালির ভারত এখন কী ভাবে দেয়, সেটাই দেখার।