মহড়া: চ্যাম্পিয়ন্স লিগ অভিযানের প্রস্তুতিতে লিয়োনেল মেসি। ছবি: এএফপি।
ঘরোয়া লিগে দুরন্ত ছন্দে থাকার ভরসা নিয়ে মঙ্গলবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসভি আইন্দহোভেনের মুখোমুখি হচ্ছে বার্সেলোনা। ক্যাম্প নু-তে এই লড়াইয়ে নামার আগে শনিবার রিয়াল সোসিয়েদাদকে হারিয়ে লা লিগায় শীর্ষস্থানে চলে এসেছেন লিওনেল মেসিরা। রিয়াল মাদ্রিদ অন্য ম্যাচে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের সঙ্গে ড্র করায় বার্সেলোনা দু’পয়েন্টে এগিয়ে শীর্ষস্থানে রয়েছে।
আনোয়েতা স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে যদিও জয়টা সহজ ছিল না। তার চেয়েও বড় কথা বার্সেলোনা কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দেকে দলের দুই অন্যতম প্রধান ফুটবলার সের্জিও বুস্কেতস এবং ফিলিপে কুটিনহোকে ছাড়াই ম্যাচ শুরু করতে হয়েছিল। বার্সেলোনার টুইটার হ্যান্ডলে পোস্ট দেখে এটাও স্পষ্ট মেসিরা তাঁদের মঙ্গলবারের প্রতিপক্ষের ফর্মও ভাল করেই জানেন। ‘‘লা লিগায় এখন আমাদের ১০০ শতাংশ জয়ের রেকর্ড রয়েছে। তবে একই রেকর্ড নিয়ে নামছে আমাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম প্রতিপক্ষও,’’ পোস্ট করা হয়েছিল বার্সেলোনার টুইটারে। কারণ, এই ক্যাম্প নু-তে নামার তিন দিন আগে নেদারল্যান্ডসের দলও ঘরোয়া লিগে সাত গোলে জিতে ১০০ শতাংস জয়ের রেকর্ড নিশ্চিত করে ফেলে।
আইন্দহোভেন ভাল ফর্মে আছে বললে ভুল হবে। বলা উচিত মার্ক ফান বোমেলের দল দুরন্ত গতিতে দৌড়চ্ছে। কারণ, তিন ম্যাচে তাঁরা ১৬টা গোলই শুধু করেনি, গোল খেয়েছে মাত্র একটি। এই ম্যাচে অভিষেক করেন আবার উঠতি প্রতিভা এরিক গুইতারেজও। তার মেক্সিকো জাতীয় দলের সতীর্থ হার্ভিং লোসানো দলের অন্যতম প্রধান শক্তি। তিনি পিএসভির তিন ফুটবলারের অন্যতম যাঁরা ইতিমধ্যেই লিগে চার গোল করে ফেলেছেন। বাকি দুই ফুটবলার হলেন, স্টিভন বার্জউইন এবং গ্যাস্তন পেরেইরো। এই দুই ফুটবলারের দিকেও নজর রাখতে হবে বার্সেলোনাকে। তবে তিন ম্যাচে প্রতিপক্ষকে গোলের মালা পরিয়ে দিলেও এটাও কিন্তু ঠিক, সে রকম বড় প্রতিপক্ষের সামনে এখনও তারা পড়েনি। তাঁদের পরের ম্যাচে যেমন রবিবার লড়াই করতে হবে আয়াক্সের বিরুদ্ধে।
পিএসভির তুলনায় বার্সেলোনায় অনেক বেশি অভিজ্ঞ ফুটবলারেরা আছেন। তা ছাড়া এ মরসুমে লা লিগায় মেসিরা দেখিয়ে দিয়েছেন প্রথমে পিছিয়ে পড়লেও ম্যাচ জেতার ক্ষমতা তাঁরা রাখেন। এই কারণেই এই লড়াইয়ে অনেকেই এগিয়ে রাখছেন বার্সেলোনাকে। তা ছাড়া পিএসভি যেমন গোল করেছে ঘরোয়া লিগে তেমন কিন্তু তাদের রক্ষণ নিয়েও সমস্যা রয়েছে। দুটো ম্যাচে সেটা প্রকট হয়ে উঠেছিল। এর সুবিধা নিতে মেসিরা যে মরিয়া হয়ে থাকবেন সেটা বলাই বাহুল্য।