গোল নষ্টের তালিকায় ভিদাল থেকে টোরেস

বায়ার্নকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে এগিয়ে থাকল অ্যাটলেটিকো

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল শুরুর ১০ মিনিটেই মাঝ মাঠ থেকে সল নিগুয়েজের দৌঁড়় যখন বায়ার্ন গোলে গিয়ে শেষ হল তখন যেন হতবাক গুয়ার্দিওয়ালার রক্ষণ।

Advertisement

সুচরিতা সেনচৌধুরী

শেষ আপডেট: ২৮ এপ্রিল ২০১৬ ০৪:০৯
Share:

অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ১ (সল)

Advertisement

বায়ার্ন মিউনিখ ০

প্রথমে বার্নাট, দ্বিতীয় আলোন্সো, তৃতীয় আলাবা আর সবার শেষে পরাস্ত ন্যুয়ার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল শুরুর ১০ মিনিটেই মাঝ মাঠ থেকে সল নিগুয়েজের দৌঁড়় যখন বায়ার্ন গোলে গিয়ে শেষ হল তখন যেন হতবাক গুয়ার্দিওয়ালার রক্ষণ। বার্নাট কেটে গিয়েছিলেন মাঝমাঠেই। আলোন্সোর মোক্ষম সময়ের ট্যাাকেলের ফাঁদও পেরিয়ে গেলেন সহজেই। শেষে আলাবার পাশ কাটিয়ে যখন গোলে শট নিলেন তখন ন্যুয়ারেরও কিছু করার ছিল না। তাঁর একহাত দূর দিয়ে বল চলে গেল গোলে। শেষ মুহূর্তে চোট পেয়ে মাঠ ছাাড়তে হল ম্যাচের একমাত্র গোলদাতাকে। ঘরের মাঠে আধিপত্য রেখেই শুরু করল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ।ফলাফলের দিক থেকে শেষটাও থাকল হোম টিমেরই নামে। মাঝের অনেকটা সময় নিজেদের দখলে রেখেও কাজের কাজ হল না বায়ার্নের।

Advertisement

ম্যাচটা যতটা ছিল বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ঠিক ততটাই ছিল দুই ধুরন্দর কোচ সিমিওনে বনাম গুয়ার্দিওয়ালার মগজাস্ত্রের লড়াই। শেষ হাসি যেই হাসুক ম্যাচ হল সমানে সমানে। শেষ ১০ মিনিট শুধু গ্যালারি তাতিয়ে গেলেন সিমিওনে।

১০ মিনিটে গোল হজম করেই জেগে উঠেছিল বায়ার্ন। যার ফল প্রায় গোলের মুখ খুলেই ফেলেছিলেন ভিদাল। শেষ মুহূর্তে ভিদালের হেড গোল লাইন থেকে বাঁচিয়ে দেন জিমেনেজ। এর পর যে কতবার একা ভিদালই অ্যাটলেটিকো রক্ষণে চাপ সৃষ্টি করলেন যার একটা থেকে গোল হলেও স্বস্তিতে শেষ করতে পারত বায়ার্ন। কিন্তু তেমনটা হল না। বরং ভিদালের সব আক্রমণের কোনওটা চলে গেল বার উচিয়ে আবার কোনওটা বাঁচল প্রতিপক্ষের তৎপরতায়। নতুন মুখ কোমানকে দেখা গেল ৩৩ মিনিটে যখন ভিদালের থেকে মাঝমাঠে বল পেয়ে দৌড়় শেষ করলেন অ্যাটলেটিকো বক্সে। কিন্তু দুর্ভাগ্য সতর্ক ছিলেন অ্যাটলেটিকো গোলকিপার ওবলাক। যদিও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই কোমানকে তুলে রিবেরিকে নামিয়ে দলকে অভিজ্ঞ করতে চাইলেন কোচ।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেরা আক্রমণাত্মাক দল শুধু সুযোগ তৈরি করে গেল কিন্তু গোল করতে পারল না। এদিন দলে একগুচ্ছ পরিবর্তন করেছিলেন গুয়ার্দেওয়ালা। লাম, মার্টিনেজ, আলাবা, বার্নাটের রক্ষণ একটা গোল হজম ছাড়়া বাকিটা ভালই সামলালেন। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ রাখতে জাভি আলোন্সোকে ফেরালেন। আর আক্রমণে নিয়ে এলেন নতুন মুখ কোমানকে।বেঞ্চে বসে থাকলেন থমাস মুলার ও মারিও গোৎজে।

অন্যদিকে অ্যাটলেটিকোয় হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের জন্য ছিলেন না দিয়েগো গোডিন। তার জায়গায় রক্ষণ সামলালেন স্টেফান সাভিচ। টোরেস-গ্রিজম্যানের অ্যাটাক বেশ কয়েকবার সমস্যায় ফেলল বায়ার্নকে।প্রথমার্ধে প্রায় ২-০ করেই ফেলেছিলেন গ্রিজম্যান। ন্যুয়ার রক্ষা করেন বায়ার্ন দূর্গ। ৭৫ মিনিটে টোরেসের শট পোস্টে লেগে ফেরা ছাড়়া ছোট্ট ছোট্ট আক্রমণ ফিরতি আক্রমণে বায়ার্ন রক্ষণকে ব্যস্ত রাখলেন দুই স্ট্রাইকার।

দ্বিতীয়ার্ধে বায়ার্ন আক্রমণ সামলাতে হিমশিম খেতে হল অ্যাটলেটিকো রক্ষণকেও। ৫৪ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে আলাবার শট ক্রসবারে লেগে ফিরে না এলে তখনও সমতায় ফিরতে পারত বায়ার্ন। ৫৬ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে বায়ার্নের হেড সরাসরি জমা হল গোলকিপারের হাতে। আর মিসের তালিকায় ভিদাল তো ছিলেনই। শেষ কয়েক মিনিট অ্যাটলেটিকো বক্সে ঝড় তুললেন ভিদাল, রিবেরিরা। তৎপর ওবলাক সামলালেন সব আক্রমণ। যার ফল ১-০ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে এগিয়ে থাকল অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। প্রথম সেমিফাইনালের মতো এদিনও দুই দলের দুই গোলকিপার একাধিকবার নিশ্চিত পতন থেকে দলকে বাঁচালেন।

অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ: ওবলাক, জুয়ানফ্রান, জিমেনেজ, সেভিস, লুইস, সল (থমাস), গাবি, কোকে, টোরেস, গ্রিজম্যান।

বায়ার্ন মিউনিখ: ন্যুয়ার, লাম, মার্টিনেজ, আলাবা, বার্নাট (মেধি), থিয়াগো (মুলার), আলোন্সো, ভিদাল, ফার্নান, কোমান (রিবেরি), কোস্তা, লেবানডস্কি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন