চলতি আইপিএলে প্রথম ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের লড়াইয়ের পরে প্রশ্ন উঠেছিল এম এ চিদম্বরম স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে। বিরাট কোহালির ব্যাঙ্গালোর দলকে মাত্র ৭০ রানে অলআউট করে দিয়েছিল চেন্নাই। রান তুলতে গিয়ে চেন্নাইও হারিয়েছিল তিন উইকেট। ম্যাচের পরে চেন্নাই অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনি এবং বিরাট দু’জনেই বলেছিলেন, যে রকম আশা করেছিলেন সে রকম পিচ পাননি এই ম্যাচে। প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় ওপেনার ম্যাথু হেডেনের মত ছিল এই পিচ ‘নিম্ন মানের’।
পিচ বিতর্ক সামলাতে এ বার আসরে নামল ভারতীয় বোর্ড। প্রথম ম্যাচে পিচ নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ভারতীয় বোর্ড সতর্ক করে বলল, ‘স্পোর্টিং উইকেট’ তৈরি করতে হবে। অর্থাৎ যে পিচে বোলার এবং ব্যাটসম্যান সমান ভাবে সুবিধা পাবে। সংবাদ সংস্থা আইএএনএস ভারতীয় বোর্ডের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, বিসিসিআই সাধারণত আইপিএলে পিচ কী রকম হবে সে ব্যাপারে নাক গলায় না। ফ্র্যাঞ্চাইজির স্বাধীনতা থাকে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার। তবে বোর্ড মনে করে পিচ এমন হওয়া উচিত নয়, যাতে বোলার বা ব্যাটসম্যান কোনও এক জন সুবিধে পাবে। সেটাই জানানো হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। প্রতিযোগিতার বাকি ম্যাচে এটা যেন মাথায় রাখে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি তা বলা হয়েছে।
সেই ম্যাচে পিচ নিয়ে ধোনি বলেছিলেন, ‘‘এ রকম পিচ আশা করিনি। খুবই ধীর গতির পিচ। আমার তো এই পিচ দেখে ২০১১ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের উইকেটের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। এ রকম পিচ থাকলে আমাদের পক্ষেও সমস্যা তৈরি হবে। নিশ্চিত ভাবে পিচ আরও ভাল হওয়া উচিত। শিশির পড়লেও প্রচণ্ড বল ঘুরছিল পিচে পড়ার পরে। আমার মনে হয়, ম্যাচে আরও বেশি রান হওয়া উচিত।’’ ধোনি আরও যোগ করেছিলেন, ‘‘ম্যাচে আমার মতে ১৪০-১৫০ রানের কাছাকাছি হওয়া উচিত। ৮০, ৯০, ১০০ বা ১২০ খুব কম রান। যদি কোনও দলে স্পিনার থাকে তা হলে তাদের বিপক্ষে এই পিচে রান তোলা খুব সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। তাই বলছি, পিচ আরও ভাল হওয়া উচিত।’’
একই সুরে কথা বলেছিলেন চেন্নাইয়ের প্রতিপক্ষ দলের অধিনায়ক কোহালিও। তিনি বলেছিলেন, ‘‘এই পিচে ব্যাটিং করা সহজ ছিল না। তবে উইকেটটা প্রথমে দেখে সে রকম মনে হয়নি।’’