হোটেলের ব্যালকনিতে রায়না ও ভুবনেশ্বর। ধর্মশালায়। ছবি: পিটিআই
ব্যাটে শিখর ধবনের দুরন্ত দেড়শো। বলে ভুবনেশ্বর কুমারের আত্মবিশ্বাস। দুইয়ে মিলে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের প্রাক্ লগ্নে ভারতীয় ক্রিকেটে ফুরফুরে হাওয়া।
সোমবারই ধর্মশালা ঢুকে পড়ল মহেন্দ্র সিংহ ধোনি-সহ টিম ইন্ডিয়া। বিমানবন্দর থেকে হোটেল হয়ে সোজা মাঠে চলে গেলেন ধোনিরা। পুরোদমে প্র্যাকটিসও চলল।
তার কাছাকাছি সময় বেঙ্গালুরুতে অধিনায়ক ধবনের দেড়শো রানের ইনিংসের উপর ভর করে বাংলাদেশ ‘এ’-র বিরুদ্ধে বেসরকারি টেস্টের দ্বিতীয় দিন ৪১১-৫-এ ডিক্লেয়ার করে দিল ভারত ‘এ’। ১৮৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে দিনের শেষে বাংলাদেশ ৩৬-২। ১৬১-১ স্কোরে এ দিন ব্যাট করতে নামে ভারত। ধবন রবিবার যেখানে শেষ করেছিলেন, এ দিন ঠিক সেখান থেকেই শুরু করলেন। ১৫০ করার পরপর সাকলিন সাজিবের বলে লেগ বিফোর না হলে তাঁর তাণ্ডব চলতই। দুর্দান্ত ফুটওয়ার্ক আর শটের ফুলঝুরি দিয়ে সাজানো ধবনের ইনিংস দেখে প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেরই মনে হচ্ছে, তিনি পুরোপুরি ফর্মে ফিরে গিয়েছেন।
ধবন ফিরে যাওয়ার পরেও অবশ্য বাংলাদেশের হেনস্থা থামেনি। করুণ নায়ার (৭১) এবং বিজয় শঙ্কর (৮৬) স্বচ্ছন্দে রান করে গিয়েছেন। যদিও দিনের শেষে শিরোনামে ধবনই। তিনি শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নামবেন কি না, এখনও নিশ্চিত নয়। কিন্তু সীমিত ওভারের সিরিজে যাঁকে নিশ্চিত ভাবে বল হাতে দেখা যাবে, সেই ভুবনেশ্বর কুমার একদম তৈরি।
‘‘আমরা টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু করছি, তাই বোলার হিসেবে নিজের বৈচিত্রের উপর ফোকাস করছি,’’ বিসিসিআই টিভিকে দেওয়া একটা সাক্ষাৎকারে বলেন ভারতীয় পেসার। বেঙ্গালুরুতে জাতীয় প্র্যাকটিস ক্যাম্পে যিনি জোর দিয়েছেন ‘গেম মোড’-এর উপর। কী সেই মোড? ভুবির ব্যাখ্যা, ‘‘টিমের সবাই লম্বা ছুটি পেয়েছিল। এ রকম লম্বা বিশ্রামের পরে প্রস্তুতিতে ফেরাটা অন্য রকম হয়। গেম মোডে, মানে ম্যাচের মানসিকতায় ফিরতে সময় লাগে।’’
বিরাট কোহলিদের শ্রীলঙ্কায় ২-১ সিরিজ জয় সাইডলাইনে বসে দেখতে হয়েছে ভুবনেশ্বরকে। তবে মানসিক ভাবে তাঁর প্রস্তুতি তখনও থামেনি। ‘‘শ্রীলঙ্কা সফরের সময় বসে বসেই মানসিক ভাবে এই সিরিজের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। নিজেকে নিজে জিজ্ঞেস করছিলাম, কী ভাবে টিমকে আরও সাহায্য করতে পারি,’’ বলে ভুবনেশ্বর আরও যোগ করেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যখন খেলা শুরু করেছিলাম, তখন ডেথ বোলিংয়ে ভাল ছিলাম না। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে পুরনো বল নিয়ে উন্নতি করার চেষ্টা করেছি।’’