বাংলার ভরসা গনি-শ্রেয়ান জুটি

সোমবার পাটিয়ালায় পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ফাইনালের প্রথম দিনে ব্যাটিং বিপর্যয়ের ফাঁদে পড়েও বোলিংয়ে তা পুষিয়ে দিলেন সৌরাশিস লাহিড়ীর ছেলেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৪:২০
Share:

—ফাইল চিত্র।

মরসুমের শুরু থেকেই ভয়ডরহীন ক্রিকেট উপহার দিয়ে চলেছে বাংলার অনূর্ধ্ব-২৩ দল। ফাইনালেও তাদের থেকে প্রত্যাশা ছিল সে রকমই। সোমবার পাটিয়ালায় পঞ্জাবের বিরুদ্ধে ফাইনালের প্রথম দিনে ব্যাটিং বিপর্যয়ের ফাঁদে পড়েও বোলিংয়ে তা পুষিয়ে দিলেন সৌরাশিস লাহিড়ীর ছেলেরা। বাংলার ১৯১ রানের জবাবে দিনের শেষে চার উইকেট হারিয়ে পঞ্জাবের রান ৪০। একটি করে উইকেট পেয়েছেন অনন্ত সাহা, আকাশ দীপ, আমির গনি ও শ্রেয়ান চক্রবর্তী।

Advertisement

সকালে কুয়াশার জন্য নির্ধারিত সময়ের বদলে ম্যাচ শুরু হয় দেরিতে। প্রথম দিনের পিচে আর্দ্রতা থাকলেও টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক ঋত্বিক রায়চৌধুরী। কারণ, পিচ দেখে অধিনায়কের অনুমান, ‘‘প্রথম দিনই বল ঘুরছে। চতুর্থ দিন তো ব্যাটই করা যাবে না। তাই ঝুঁকি নিতে চাইনি।’’ কিন্তু দুই রানের মাথায় প্রথম তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে আতঙ্ক ফিরে আসে বাংলা শিবিরে। শূন্য রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সুদীপ ঘরামি, কাজি জুনেইদ সৈফি ও সৌরভ সিংহ। সেখান থেকে বাংলা ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক ঋত্বিক ও শুভম চট্টোপাধ্যায়। ১০৬ রানের জুটি গড়ে দলকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে এই জুটি।

শুভম করেন ৬৪ রান। ৪৩ রানে ফিরে যান ঋত্বিক। অগ্নিভ পান (২৯) ও আরিফ আনসারি (২৯)-র প্রচেষ্টায় ১৫০ রানের গণ্ডি পেরোলেও নিজেদের উইকেট ধরে রাখতে পারেননি দুই উইকেটকিপার। পাঁচ উইকেট নিয়ে বাংলার ইনিংসে ধস নামান পঞ্জাবের বাঁ হাতি স্পিনার হরপ্রীত ব্রার। বাংলার কোচ সৌরাশিস লাহিড়ী জানিয়েছেন, পরিস্থিতি যাই হোক তাঁর ছেলেরা হাল ছাড়বে না। পাটিয়ালা থেকে ফোনে সৌরাশিস বলছিলেন, ‘‘আমরা বুঝতে পেরেছিলাম বল ঘুরবে। শুধু ঘুরছেই না, সঙ্গে বাউন্সও রয়েছে। স্পিনারদের আদর্শ। কিন্তু দুই ইনিংসেই শুরুর দিকের উইকেট পেয়েছে পেসারেরা। যাই হোক, ছেলেরা জানে এ ধরনের পরিস্থিতি কী ভাবে সামলাতে হবে।’’

Advertisement

বিপক্ষের চার উইকেট ফেলে দিলেও স্বস্তিতে নেই বাংলা দলের অধিনায়ক ঋত্বিক। বললেন, ‘‘আমরা ভাল ব্যাট করতে পারিনি। অন্তত বোলিং করে বিপক্ষকে চাপে রাখতেই হবে। এই পিচেও যে আমাদের দুই পেসার উইকেট পেয়েছে, সেটাই বড় ব্যাপার। দ্বিতীয় দিন থেকে আমাদের স্পিন বিভাগের দায়িত্ব দ্বিগুণ হয়ে গেল। বিপক্ষকে দ্রুত অলআউট করার জন্য গনি, শ্রেয়ানের উপরেই ভরসা রাখতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন